ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্যক্তিগত খামারে হরিণ!

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::  প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় বন্যপ্রাণীর নানা প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ইতিমধ্যে অনেক বন্যপ্রাণীকে সরকার ঝ্‌ু্‌কিঁপূর্ণ তালিকায় ফেলেছেন। এর মধ্যে আছে চিত্রা হরিণও।
মীরসরাই উপজেলায় এক ব্যক্তি চিড়িয়াখানা আদলে একটি খামার গড়ে তুলেছেন। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, যথার্থ পরিবেশ, চিকিৎসা ও পরিচর্যার অভাবে মারা গেছে ৯টি হরিণ। ঝুঁকির মুখে আছে আরো ১৮টি হরিণ।
তার খামারে আছে বন মোরগ, কালিম পাখিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে ২৭টি হরিণ আনা হয়। তবে প্রতিটি প্রাণী লালন-পালনের বিষয়ে বন বিভাগের লাইসেন্স, প্রাণীর নিবন্ধন ও প্রাণীর মৃত্যু হলে রিপোর্ট প্রদানের বিষয় থাকলেও তা মানা হয়নি।
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের পাহাড়ি এলাকায় হিলস ডেল মাল্টিফার্ম নামে এই খামারের মালিক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি অনুমতি নিয়েই পশুপাখি পালন করছি। অনুমতিপত্র নবায়ন করা আছে কিনা, পশুপাখিদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেখার কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নবায়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। কোনো পশুপাশি অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দেখানো হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাছের মো. ইয়াছিন বলেন, উক্ত ব্যক্তির একটি নবায়নের ফাইল আমাদের কাছে পেন্ডিং রয়েছে। ৯টি হরিণ মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, একটি প্রাণীও মারা গেলে আমাদের কাছে রিপোর্টিং করতে হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা জানি না।
ওই এলাকায় বন্যপ্রাণী থাকার বিষয়ে জানেন না উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার। তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ চিকিৎসার জন্য আসেননি।
খামারের কর্মচারী রিয়াদ মাহমুদ জানান, একটি হরিণ আরেকটি হরিণকে শিং দিয়ে গুঁতো দেয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যায় কয়েকটি হরিণ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, খামারটি আমার এলাকায় হলেও এর তদারকির দায়িত্ব আমার নয়। এর জন্য সরকারের নির্ধারিত বিভাগ রয়েছে।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন চকরিয়া নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। উল্লেখিত অভিযোগে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অনুমতি ব্যতিরেকে বন্য পশুপাখি আটক করে পালনের দায়ে ১ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ২য় দফায় একই অন্যায় করলে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ২ বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

পাঠকের মতামত: