ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লামা ফাইতং এ সরকারী যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে জমি দখল চেষ্টায় উত্তেজনা

মনির আহমদ, চকরিয়া :: পার্বত্য লামা উপজেলার চকরিয়ার বানিয়ার ছড়া-লামা সড়কের  ফাইতং ষ্টেশনে যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবান জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত ১০ বছরের ও অধিক কালের একটি পুরনো সরকারী যাত্রী ছাউনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের আশ্রয়স্থল ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। এটি দখল করতে ভাংচুর চালিয়েছে স্থানীয় হেড়ম্যান ওমরামং। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙ্গন বন্ধ করে দিয়েছে।সুবিধাভোগিরা একে হেড়ম্যান ওমরামং এর ক্ষমতার অপব্যবহার বলে দাবী করেছেন।

সরেজমিনে এলাকাবাসী ও সিএনজি ড্রাইভাররা জানান, বান্দরবান জেলা পরিষদ যাত্রীদের সেবায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ফাইতং ষ্টেশনের পুর্বকর্ণারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করে দেয়। ১০ বছরের ও অধিক কাল ধরে যাত্রী ছাউনিটি যাত্রীদের আশ্রয়স্থল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত মঙ্গল ও বুধবার (২ দিন আগে) স্থানীয় হেড়ম্যান ওমরা মং ছাত্রী ছাউনির দেয়াল ও টিনের চাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আরসিসি পিলার ভেঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এতে পিলারগুলো নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ফাইতং ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফাইতং ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই হানিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, একদল লোককে একটি কাল পলিথিনের বেড়া দিয়ে যাত্রী ছাউনির ইটের দেয়াল ভাংতে দেখি। আমি তাদেরকে যাত্রী ছাউনি ভাংতে নিষেদ করি এবং বলি ওটা ভাঙ্গার প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ভাঙ্গার জন্য। অন্যথায় আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এই বলে আমরা কাল পলিথিনের বেড়া সরিয়ে লোকজন তাড়িয়ে দিয়ে চলে আসি। ‘

এদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার হেড়ম্যান ওমরা মং স্বীকার করেছেন যাত্রী ছাউনিটি তিনি ভাঙ্গীয়েছেন। তিনি বলেন, যাত্রী ছাউনিটি গত ১০ বছর আগে তার ৫০৫ নং হোল্ডিং এর খতিয়ানভুক্ত জমিতে নির্মান করেছিলেন জেলা প্রশাসন। ওটা নির্মান কালে ওই স্থানে লোকসমাগম ছিল। কালের পরিবর্তনে ষ্টেশনের চৌমুহনী আরো পশ্চিমে চলে আসে এবং লোক সমাগম হয় ৩ শত গজ পশ্চিমের চৌমুহনীতে। অপরদিকে বর্তমানে ওই স্থানে দোকানপাট হওয়ায় যাত্রী ছাউনিটি দোকানের আড়ালে হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ব্যবহার না থাকায় পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটি বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অন্ধকারে হওয়ায় মলমুত্র ও ত্যাগ করে অনেকে এতে করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই আমি যাত্রী ছাউনিটি বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে চৌমুহনীতে স্থাপনের ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে এটি জনকল্যানে আসে। পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটি সরাতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মতি নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। তবে যাত্রী ছাউনি ভাংচুরকে কেন্দ্র করে ফাইতং বাজারের দোকানদার ও সুবিধাভোগিরা হেড়ম্যান ওমরামং এর ক্ষমতার অপব্যবহার বলে দাবী করেছেন।

পাঠকের মতামত: