ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই, তবু কক্সবাজারে হচ্ছে সা’দ পন্থীদের ইজতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আসন্ন বিশ্বইজতেমার পূর্বে জোড় ইজতেমা ব্যতীত দেশের অন্য কোন জেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা যাবে না মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করে।
গত ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিন স্বাক্ষরিত স্মারক নং -৪৪.০০.০০০০.০৭৯.১০.০০২.১৯-৫১৮ তে কক্সবাজারে ইজতেমার স্থান উল্লেখ নেই।
দেখা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার সাগরপাড়ের কবিতা চত্বরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর এই ইজতেমার আয়োজন করছে দিল্লীর বিতর্কিত সা’দ পন্থী কিছু ব্যক্তি।
যদিও মূল ধারার তাবলীগ জামাতের সাথিরা এই আয়োজনকে মেনে নিচ্ছে না। এই ইজতেমার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে ১৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসককে লিখিত আবেদনও দিয়েছেন তানজীমে উলামায়ে আহলে হকের জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক অধিশাখা -৬ থেকে জারি করা ওই নোটিশে বলা হয়েছে, মাওলানা জোবায়ের আহমেদ ও মাওলানা সাদ অনুসারীগণ পৃথক তারিখে জোড় ইজতেমা আয়োজন করবেন মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন। তাদের প্রদত্ত সময়সূচির আলোকে মাওলানা সা’দের অনুসারীগণ ঢাকা রূপনগরের বর্ধিত পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ৬-১০ ডিসেম্বর জোড় করতে পারবেন। এর বাইরে কোথাও জোড় করার আইনতঃ বৈধতা নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
তাবলীগের সাথীরা জানিয়েছেন, মাওলানা সা’দ দিল্লির বিতর্কিত ব্যক্তি। তার ফেতনা থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে তার আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করে কক্সবাজারে দ্বিতীয় ইজতেমা আয়োজন করতে চাচ্ছে তাবলিগের কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ শাখার ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতেই ইজতেমার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭, ৮ ও ৯ নভেম্ববর দেওবন্দপন্থী তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে তিনদিনের ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে আলাদাভাবে তিন দিনের ইজতেমা আয়োজন করতে যাচ্ছে সা’দপন্থী গ্রুপ। গতবছরও তারা আলাদাভাবে ইজতেমা আয়োজন করেছিলো।

পাঠকের মতামত: