ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে দুই শতাধিক রোগীকে জিম্মি করে অবহিতকরন সভা: রোগীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

ছবির ক্যাপশন: ১. অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতালে আগত রোগীদের দূভোর্গ। ২. ডাক্তার শুন্য অফিস কক্ষ। ৩. অফিস চলাকালীন সময়ে চলছে অবহিতকরন সভা

মনির আহমদ, কক্সবাজার ::  চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে অফিস চলাকালীন সময়ে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও বয়োবৃদ্ধ রোগীকে কাউন্টারসহ পুরো হাসপাতাল এলাকায় অপেক্ষামান রেখে সমস্ত কর্মরত নার্স -কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি এনজিওর অবহিতকরন সভা অনুষ্টিত হয়েছে।  ১৩ নভেম্বর
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দিনব্যাপী চলে এ অবহিতকরন সভা। একই সময়ে হাসপাতালে তখন ছিল অসংখ্য রোগীর আগমনে ভরপুর।
ওই ব্যস্ত সময়ে ২ শতাধিক রোগীর জন্য আউট ডোর ও হাসপাতাল বেড়ে ৩ জন ডাক্তার ও ৩ জন নার্স রেখে “আরএমও’ সহ ডাক্তার-নার্স-কর্মচারী সকলেই দিনব্যাপী সময় কাটান অবহিতকরন সভাস্থল হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে। অপর দিকে সুদুর গ্রাম গঞ্জ থেকে আগত নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ ২ শতাধিক রোগী দিনভর অপেক্ষা করে হয়রানীর শিকার হয়ে ফেরত যায়। চরম শারিরীক কষ্ট ও অর্থকষ্টের শিকার হয়ে অনেককে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় বাহিরের প্রাইভেট ডাক্তারের নিকট।
এমতাবস্থায় একই সময়ে হাসপাতাল প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাং শাহবাজের রুমে গিয়ে দেখা যায় তিনি নিজেও ব্যস্ত হাসপাতালে কয়েকজন বিদেশী ডেলিগেট নিয়ে। এক পর্যায়ে হাসপাতাল প্রধান উপজেলা প:প: কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাং শাহবাজের রুমে গিয়ে এত রোগী অপেক্ষামান রেখে হাসপাতালে কোন ধরনের অবহিত করন সভা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চরম উত্তেজনার সাথে বলেন, তিনি এখন অত্যন্ত ব্যস্ত।

আজ এই বৈঠকের মাধ্যমে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালকে শত বছরের জন্য এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করছেন আগত বিদেশিনী ডেলিগেটের মাধ্যমে। তাঁর বক্তব্য মনে হলো, শতবছরের জন্য” টিকা” দিবেন চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে আগত রোগীদের। অবশ্য পর মুহুর্তে দুপুর ১২ টার দিকে তিনি ফোন দিয়ে ২ নার্স অবহিতকরন সভা থেকে ডেকে বের করে আনেন। এবং রোগীদের কাছে পাঠান কিন্তু ততক্ষনে হাসপাতালের অফিস সময় শেষ।
এ দিকে একই সময়ে হাসপাতালের ২য় তলায় নার্স কক্ষের সামনে চলে উচ্চ বাক্যে মহিলা রোগীর আর্তনাদ সাথে গালিগালাজ। এক মহিলা রোগী বলেন একটি ইনজেকশন পোশ করার জন্য দাঁড় করিয়ে রেখেছেন ২ ঘন্টা। কিন্তু নার্স নাই। ইসিজি’ অক্সিজেন দেয়ার জন্য নেই কোন নার্স। এক পর্যায়ে চলে রোগীদের ভিড়ও আহাজারী।

সচেতন কিছু রোগী ফেরত যেতে যেতে বলেন, সরকারী হাসপাতালে অফিস সময়ে দুই শতাধিক শিশু, নারী-পুরুষ ও বয়োবৃদ্ধ রোগীকে কাউন্টার সহ পুরো হাসপাতাল এলাকায় অপেক্ষামান রেখে সমস্ত কর্মরত নার্স -কর্মকর্তাদের ব্যস্ত রাখা হয়েছে এনজিওর অবহিতকরন সভায় যা অমানবিক ও অফিস ফাঁকি দেবার কৌশল।যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।

এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: