মনির আহমদ, চকরিয়া :: চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসে ২ ছাত্রকে অপর ২ ছাত্র কর্তৃক ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাত সোয়া ১টায় হোস্টেলের ভেতর ৪/৫ জন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে ও বাটাম দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করেছে উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী। আহতদের ১জন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঠিকাদার আবদুল হাকিমের ছেলে ৯ ম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র নাজমুল হোসেন জয় ও অপর ছাত্র মাহমুদ হোসেন কালবি’কে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংখাজনক বলে জানা গেছে। হামলাকারী ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র হেলাল উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইবসহ অপরাপর হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ২টায় ছাত্রাবাসের নীচ তলায় ও পরে ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রাবাসের সহকারী হোষ্টের সুপার শফিউল আলম জানান, বিদ্যাপীঠ হোষ্টেলে ৬৫ জন ছাত্রী ও ২৫০ জন ছাত্র আবাসিক রয়েছে। ৪ তলা ছাত্রাবাস ভবনের প্রতিটি কক্ষে ১৫-১৬ জন করে ছাত্র থাকে। এ দিন হোষ্টেল সুপার নেচারুল হক সন্ধ্যায় ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যান। দায়ীত্বে থাকেন সহকারী হোষ্টেল সুপার শফিউল আলম। সহকারী হোষ্টেল সুপার শফিউল আলম এ ছাত্রদের মারামারি প্রসঙ্গে বলেন, রাত ১২ টার দিকে ৪তলায় তিনি ঘুমাতে যান। হৈচৈ শুনে তিনি দ্রুত নীচে নেমে দেখতে পান ২ ছাত্র রক্তাক্ত হয়ে মেঝেতে বসে আছে। জানতে পারেন ছাত্রাবাসের অপর ২ ছাত্র তাদেরকে ছুরিকাঘাত করে ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়েছে। ঘটনা শুনে তিনি দ্রুত আহত ২ ছাত্রকে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ও চকরিয়া থানাকে অবহিত করা হয়।
আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত ও উপস্থিত ছাত্রদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিরু বড়ুয়া সহ একদল পুলিশ।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ প্রধান শিক্ষক নূরুল আখের চকরিয়া নিউজকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্র
হেলাল উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইব এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছে। তাদেরকে স্কুল থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে ঘটনার রহস্য এখনো জানা যায় নি।
পাঠকের মতামত: