ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়া সীমান্তের ইয়াবা কারবার যাদের নিয়ন্ত্রণে!

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উখিয়া সীমান্তের দরগাবিল,ডেইলপাড়া,ডিগিলিয়া, হাতিমুরা সীমান্তের একছত্র নিয়ন্ত্রন এখন কয়েকটি সিন্ডিকেটের হাতে।সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নং ওযার্ডের মেম্বারের বিরুদ্ধে। কিন্ত পত্রিকায় নাম এলেও বারবার অদৃশ্য কারনে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। ফলে সীমান্ত এলাকার ইয়াবা বানিজ্য বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উল্লেখিত এলাকা গুলো দিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে গিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসে।

জানা গেছে,মেম্বার ছাড়াও সিন্ডিকেটের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে যায়। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডেইল পাড়া গ্রামের সাব্বির আহামদের পুত্র জসিম উদ্দিন, ফরিদুল আলমের পুত্র জাফর আলম,কবির আহামদের পুত্র জানে আলম জুনু,মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র রকিব আলম,আলী আহামদের পুত্র মুফিদ আলম, দক্ষিণ ডেইলপাড়া গ্রামের সুলতান আহামদের পুত্র শামশুল আলম,ছমি উদ্দিনের পুত্র মনছুর আলম,হোছন আলীর পুত্র আনোয়ার, ছৈয়দ নুরের পুত্র মামুন, নুর আলীর পুত্র লোকমান হাকিম,পূর্ব ডিগিলিয়া গ্রামের নুর আহামদের পুত্র জয়নাল,সোলতানের পুত্র ছৈয়দ আলম, ওলা মিয়ার পুত্র মরা ছৈয়দ প্রমুখ।
সিন্ডিকেটের এসব সদস্যদের সাথে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক কানেকশন, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা নিয়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে ক্যাম্পে। পরে সুযোগ বুঝে মজুত করা ইয়াবা পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যে সিন্ডিকেট সদস্যরা ইয়াবা বানিজ্য করে শুন্য থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে,স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে জানান,মেম্বার আব্দুর রহিমের ইয়াবা ব্যবসা অনেক দিনের, সে ইয়াবা বানিজ্যের মাধ্যমে বাড়ী করা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ জায়গা কিনেছেন, তাছাড়া অনেকেই জায়গা বন্ধক রয়েছে আব্দুর রহিমের কব্জায়।
তারা আরো জানান,মেম্বার অনেক ওপেন সিক্রেট ভাবে ব্যবসা না করলেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা বানিজ্যে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, প্রতিদিনই ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হচ্ছে পাচারকারীরা। আমি উখিয়া থানায় যোগদান করার পর মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করেছেন। তাই উখিয়া থানায় মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। আমি ইতিমধ্যে বলে দিয়েছি, হয় মাদক ছাড়তে হবে,না হয় উখিয়া ছাড়তে হবে। মাদক ব্যবসা করে কেউ উখিয়া থাকতে পারবেনা। সুত্র: উখিয়া সংবাদ

পাঠকের মতামত: