ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে প্রথম বৃদ্ধাশ্রম ‘মমতাময়ী’র যাত্রা শুরু

বলরাম দাশ, অনুপম ::  কক্সবাজারে প্রথম বারের শুরু হয়েছে ‘মমতাময়ী’ বৃদ্ধাশ্রমের যাত্রা। আর এই শুভ কাজের সূচনা করেছেন এখানকার এক ঝাঁক পরোপকারী তরুন যুবক। যাঁরা একেবারেই নিঃসন্তান, যাঁরা সন্তানহারা, ভবঘুরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের, যাঁদের দেখভাল করার কেউ নেই, যাঁরা আশ্রয়হীন এমন বয়স্কদের জন্যই মূলত এই ‘মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রম’। সরেরজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে-কক্সবাজার শহরেই ব্যস্ততম ঘোনারপাড়া এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে এই বৃদ্ধাশ্রমটি। প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিতাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই অবস্থায় ২০ জন বয়স্কদের ওখানে রাখা যাবে।

ওই বৃদ্ধাশ্রমের সভাপতি ডাঃ পুলিশ চন্দ্র দে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় সর্বোচ্চ ২০ জন বয়স্কদের নিয়ে এই বৃদ্ধাশ্রমের যাত্রা শুরু করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে যাবতীয় ব্যবস্থা। যাঁরা এখানে থাকবে তাঁদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও ধর্ম পালনের ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের এখানে রাখা হবে এবং এখানে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণকারীদের ধর্মীয় অনুশাসন মতে প্রয়োজনীয় ক্রিয়াদি সম্পন্ন করা হবে।

কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিবেক পাল জানান, ‘মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রম’ পরিচালনার জন্য গত ১ মে কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃদ্ধাশ্রমটিকে প‚র্ণাঙ্গ রূপ দিতে আমরা সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। এটি চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বৃদ্ধাশ্রম হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই বৃদ্ধাশ্রমে যাঁদের কোন সন্তান নেই, যাঁরা একেবারেই নিঃসন্তান, যাঁদের কোন আশ্রয় নেই, যাঁরা ভবঘুরে অর্থাৎ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এমন বয়স্কদের আমরা মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রমে রাখবো।

কক্সবাজারের তরুন সাংবাদিক ও সংগঠক শিপন পাল বলেন, এই মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রমটি কক্সবাজারের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। কারণ এখানকার যারা নি:সন্তান বা সন্তানেরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তারা আশ্রয় নিয়ে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারবে।

আলাপকালে পরিচালনা পরিষদের নির্বাহী পরিচালক পরিমল কান্তি দে জানান, সমাজের অবহেলিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সুষ্ঠু জীবন-যাপন এবং বয়সের শেষ সময়ে এসে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা পূরণের নিমিত্তে এই মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রম করা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র যারা একেবারেই নিঃসন্তান, যারা সন্তান-সন্ততি হারিয়েছে, যারা জীবিকার তাগিদে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাদেরই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অন্যথায় যাদের ছেলে-সন্তানাদি আছে তারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সুযোগ পাবে না। সমাজের অবহেলিত এসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সুষ্ঠু জীবন-যাপনে কক্সবাজার মমতাময়ী বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন কার্যকরী পরিষদের কার্যকরী সভাপতি রাজু পাল ও সাধারণ সম্পাদক বিবেক পাল।

যোগাযোগঃ ০১৮১৩-২৩৪৩৫১ (সভাপতি), ০১৬৩০-১৬৬০৮৫ (সাধারণ সম্পাদক)।

পাঠকের মতামত: