ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু, প্রথম দিন গেল ১১শ’ পর্যটক

জসিম মাহমুদ, টেকনাফ :::
১৮৭দিন বন্ধ থাকার পর পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ ও এমভি ফারহান নামে তিনটি জাহাজে করে প্রায় ১১শত পযটক সেন্টমার্টিন গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে আবারও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে এ নৌপথে পর্যটক পারাপারে নিয়োজিত জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাফনদীর তীর ঘেঁষা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় নদী বন্দর স্থাপিত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)একটি জেটি, পল্টুন ও একটি যাত্রী ছাউনী এবং টয়লেট স্থাপন করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার যোগে টেকনাফে আসেন।ওইসব জাহাজ করে সেন্টমাটিন যেতে পযটকেরা টিকেট সংগ্রহ করে সকাল সাড়ে নয়টার পর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ২৯২, আটলান্টিক ক্রুজে ৩৮৪ ও এমভি ফারহানে ৩৮২ পযটক নিয়ে জাহাজে করে এক হাজার ৫৮জন পযটক সেন্টমাটিন গেছে। পরে বিকেল তিনটার পর চারশতাধিক পযটক রাত্রি যাপন করতে সেন্টমাটিন থেকে যান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের(বিআইডব্লিউটিএ)টেকনাফের সমন্বয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে এ নৌপথে চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষ বতমানে চারটি পযর্টকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে চারটি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজও চলাচল শুরু করবে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে এ নৌপথে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১৮৭দিন ধরে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সাগর শান্ত ও পযটন মৌসুমে পর্যটকদের কথা চিন্তা করে আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যাবে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের(বিআইডব্লিউটিএ) অনুমতির সাপেক্ষে এ নৌপথে আবারো জাহাজ চলাচল শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও বলেন, জাহাজ চলাচল শুরু হওয়াই সেন্টমার্টিনে হোটেল, কটেজসহ প্রতিটি আবাসিক ও খাবার হোটেলে মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজ কর্তৃপক্ষ যাতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে এবং ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাটার সময় কোনো পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন সৈকতের পানিতে না নামেন, সে ব্যাপারে প্রচারণা চালানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, জাহাজ চলাচলে সেন্টমাটিনে এখন সাজ সাজ রব। দুপুরে পযটকসহ তিনটি জাহাজ দ্বীপে পৌছালে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে এবং রাত্রি যাপন করতে প্রায় চারশতাধিক পযটক সেন্টমাটিন রয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: