ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় ঘর নির্মাণ করতে চাঁদা না দেয়ায় দূর্বৃত্তের হামলায় নিহত-১, নারীসহ আহত-৬, আটক-৩

এম.জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::   নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে দূর্বৃত্তের দাবীকৃত দুই লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করায় লোহার রড় ও লাঠি পেটায় একই পরিবারের একজন নিহত ও নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। নিহত আবু হানিফ মানিকের দুই বড় ভাইকেও ইতিপূর্বে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ২৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের কাছিম আলী মিয়াজী সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু হানিফ মানিক (২৭) একই এলাকার মৃত নুরুল হোসেনের ছেলে। বেলা ১১টায় হামলায় পরিবারের সাত সদস্যের সাথে তিনি আহত হন। বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক।

এর আগে মানিকের বড় ভাই ইব্রাহীমকে ১৯৯৮ সালে ও মেঝ ভাই আবু তাহেরকে ২০১৩ সালে খুন করে দূর্বৃত্তরা। মৃত নুরুল হোসেনের ৫ সন্তানের মধ্যে তিনজন (তিনভাই) খুনের শিকার হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন, নিহত মানিকের ভাই আবু তৈয়ব (৩৫), আবু ছিদ্দিক (৩০), ভাতিজা কাইছার হামিদ (২৩), আবদুস সালাম (৪৫), সাহেদ (১৩) ও তছলিমা (৩০)। আহতদের মধ্যে তৈয়বকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর ৫জনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলা ও হত্যায় জড়িত অভিযোগে লোকজনের সহায়তায় আটক তিনজন হলেন, মৃত নজু মিয়ার ছেলে কবির আহমদ (৫০), নুরুল আমিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩০) ও তার ভাই মো. সাগর (২৫)। আটকদের মধ্যে কবির আহমদ নিহত আবু হানিয়ের বড় ভাই ইব্রাহীম হত্যা মামলারও ২নম্বর আসামী।

পূর্ব বড় ভেওলার সিকদার পাড়াস্থ নিজ জমিতে ঘর তুলছিলেন আবু হানিফ। ঘর তুলতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে নিকটবর্তী দূর্বৃত্তরা। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হামলা চালানো হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামলার সময় মাতামুহুরী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই হাবিবের নেতৃত্বে একদল পুুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের ভুমিকা ছিল রহস্যময়। ঘটনার পরপরই ওই স্থান থেকে তিনজনকে আটক প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জোলার পাড়া স্টেশনে এসে তাদের ছেড়ে দেয়। যদিও পরে ওই তিন ব্যক্তি আহতদের পরিস্থিতি বুঝতে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এসময় হানিফ মারা গেলে তার আত্মিয়রা ওই তিনজনকে পাকড়াও করে থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের নিয়ে যায়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও আটক করতে অভিযান চলছে। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়নি।

পাঠকের মতামত: