ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্টানে শহীদ মিনার নেই, জাতীয় দিবস উদযাপনে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

indexএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::::

চকরিয়া উপজেলায় প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক। ১৯৫২সালে মহান ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রায় ৬২বছর সময় অতিবাহিত হলেও স্বাধীন বাংলাদেশের সম্পদ সম্পৃদ্ধ এ উপজেলায় এখনো অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানে গড়ে উঠেনি স্বাধীনতার অন্যতম নির্দশন শহীদ মিনার। এ অবস্থার কারনে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা দেশ মাতৃকার টানে ভাষা দিবস, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সকল বীর সেনানী ও অন্যান্য জাতীয় দিবস গুলো পালনে যথাযথভাবে পালনে সুযোগ পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও শহীদ মিনারের এ দৈন্যদশার কারনে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, প্রগতিশীল চেনতার শ্রেনী-পেশার নাগরিক এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার আটার ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা এলাকায় প্রায় পাঁচ লাখের জনগনের বসবাস। তথ্য প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সারাদেশের মতো চকরিয়া উপজেলাও এখন প্রযুক্তিখাতে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে গত দুই দশকে। অর্থনৈতিক খাতে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে এ উপজেলা। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন হয়েছে আগের চেয়ে অনেকগুন।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরের সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্টিত হয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ ৭টি কলেজ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানে অন্তত লক্ষাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়ায় ব্যস্ত রয়েছে প্রতিদিন। সবকিছুতেই সম্ভাবনাময় চকরিয়া উপজেলা এগিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টানে শহীদ মিনার গড়ার কাজে।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ এলাকায় একটি ও বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে একটি শহীদ থাকলেও উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় এখনো গড়ে উঠেনি পর্যাপ্ত শহীদ মিনার। ফলে উপজেলার উপকুলীয় ও দুর্গম এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর জাতীয় দিবস গুলোর গুরুত্বপুর্ণ অনুষ্টান পালনে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপজেলা সদরের এসব শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা জানাতে এসে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তবে উপজেলার বেশ কটি উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ইতোমধ্যে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আবু মো.বশিরুল আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে স্বাধীনতার অন্যতম নির্দশন শহীদ মিনার না থাকার ব্যাপারটি জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য। কারণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পারলেও আমরা এখনো জাতি হিসেবে অনেক পিছিয়ে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্টানে শহীদ মিনার থাকলে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সহজে মহান স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন, বিজয় দিবস ও জাতীয় শোক দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনা পেত।

পাঠকের মতামত: