ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় ৪শ মিটারসহ ছয় স্পটে হবে বাইপাস, ফ্লাইওভার

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যস্ত ও জনবহুল স্পটগুলোকে নিরাপদ করার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ লক্ষ্যে মহাসড়কের ৬ স্পটে দুইটি ফ্লাইওভার, বাইপাস, চার লেন এবং ৬ লেনের সড়ক করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জাইকা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের একটি প্রস্তাবনা জাইকার টোকিও প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। পর্যটননগরী কক্সবাজার বাদেও পার্বত্য জেলা বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলার বাসিন্দারা সড়কটি ব্যবহার করে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। ১৯৯৫ সালের আগে মহাসড়কটির উন্নয়ন করা হয়। এরপর থেকে মাঝেমধ্যে সড়কটি মেরামত করা হলেও এই দীর্ঘ সময়ে সড়কটি সম্প্রসারণ করা হয়নি। মহাসড়কটি সম্প্রসারণ করা না হলেও প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে সংকীর্ণ সড়কটি দিয়ে।

এদিকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আসার পর সড়কটির উপর চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এতে করে প্রতিদিন মহাসড়কটি দিয়ে শরণার্থীদের খাদ্য ও ত্রাণবাহী শত শত ট্রাক যাতায়াত করে। তাছাড়া কক্সবাজারকে ঘিরে নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠছে।

বিশেষ করে কক্সবাজারে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী পাওয়ার হাব, মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে আগামীতে দেশের অন্যতম এ মহাসড়কটি আরো ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এতে যানজট আরো প্রকট হতে পারে। যে কারণে যান চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ৬টি স্পটকে ব্যস্ত ও জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে উন্নয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় ৪শ মিটার ফ্লাইওভার, লোহাগাড়ায় নতুন করে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, কেরানী হাটে ৫শ মিটার ফ্লাইওভার, দোহাজারিতে বর্তমানের দুই লেনের সড়ককে চার লেন করা এবং নতুন নির্মিত পটিয়া বাইপাস সড়কের ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দুই লেনের সড়ককে চার লেনে প্রসস্থকরণ করাসহ ৫ স্পটের উন্নয়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করে জইকা।

দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দেশের একটি ব্যস্ততম মহাসড়ক। স্থানীয় লোকজন বাদেও দেশি বিদেশী পর্যটকেরাও সড়কটি দিয়ে কক্সবাজার যাতায়াত করে থাকেন। রোহিঙ্গারা আসার পর এ সড়কের চাপ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, পুরো মহাসড়কটির বেশিরভাগই দুই লেনের। যে কারণে অনেক সময় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাতায়াতকারী লোকজনকে। এজন্য ৫টি স্পটকে উন্নয়ন করার জন্য জাইকা ঢাকা অফিস একটি প্রস্তাবনা টোকিও কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।

তবে পটিয়ার শান্তিরহাটও খুবই ব্যস্ততম স্পট। কর্ণফুলীতে টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চাপ আরো বাড়বে। এতে শান্তিরহাট স্পট আরোবেশি যানজটপ্রবণ হয়ে পড়বে। এজন্য ৫ স্পটের সাথে শান্তির হাট অংশটিকেও ৬ লাইনে প্রসস্থ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি।

জাইকার সম্মতি পাওয়া গেলে প্রকল্প প্রস্তাবনা করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পাঠানো হবে।

পাঠকের মতামত: