ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ার মালুমঘাটে আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ বনবিট কর্মকর্তার বিরোদ্ধে

মনির আহমদ, চকরিয়া ::  চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিজার্ভ বনভুমিতে তৈরী করা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিসে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বনবিট কর্মকর্তা ইলিয়াছের বিরোদ্ধে। আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় একদল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফাসিয়াখালী বন-রেঞ্জের মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা সংলগ্ন স্থান দখল করে আনুমানিক ৫০ হাত লম্বা ৫/৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিন সেটের ঘর। ওই ঘরের মধ্যখানের একটি কক্ষের খোলা দরজার সামনে একটি কাঠের ছোট্ট প্রতিকী নৌকা পড়ে আছে। খোলা অফিসের ভিতরে একটি ভাংচুর দৃশ্যমান দেখা গেছে, সেখানে একটি এলইডি টিভি,বঙ্গবন্ধুর ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মেঝেতে বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে আছে। দেয়ালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি, চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী চেয়ারম্যানের ছবি সম্বলিত কয়েকটি ব্যানার, পার্শে একটি নার্সারীর ব্যানার।

এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফোরকান জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০ টা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলী আহমদ, বরাবরে সরকারী জমি দখলের অভিযোগ এনে একটি নোটিশ দিতে আসেন ডুলাহাজারা বন-বিভাগের বনবিট কর্মকর্তা মোহাং ইলিয়াছ হোসেন। তখন অফিস খোলা ছিল। কিন্তু কোন নেতা-কর্মি উপস্থিত ছিল না। খালী পেয়ে বিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ সঙ্গীয় এফজি আব্দুল কাদের হাওলাদার ও এফজি সাইদুল ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিসে ঢুকে নৌকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও ছবি ভাংচুর করে দ্রুত চলে যান বলে জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী এসেছি।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান জানান,বনবিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ নাকি অফিসে  ঢুকে স্বাধীনতার স্হপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি বা প্রতিকৃতি ভাংচুর করা হয়েছে। এখন আমরা চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি জাফর ভাই সহ নেতৃবৃন্দগনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আসবেন বলেছেন, তাঁর পরামর্শ নিয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।
এ সময় ওই ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমইউপি আব্দুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোঃ ফোরকান, সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বনবিট কর্মকর্তা মোহাং ইলিয়াছ হোছাইন জানান, এফজি আব্দুল কাদের হাওলাদার ও সাইদুল ইসলাম কে পাঠিয়ে নোটিশ দিয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি সুতরাং আমার মাধ্যমে কোন কিছু ভাংচুর করার কথা বানোয়াট।

সংশ্লিষ্ট বনরেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিসে আছেন দাবী করে

পাঠকের মতামত: