ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় কৃত্রিম পায়ে হেঁটে  তেরো বছর পর শিক্ষার্থী জন্নাতুল ফেরদৌস মাদ্রাসায় যাবে

কক্সবাজার জেলা পরিষদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থী জন্নাতুল ফেরদৌসকে কৃত্রিম পা উপহার দেয়া হচ্ছে।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের মেধাবী শিক্ষার্থী জন্নাতুল ফেরদৌসের বয়স তখনো তেরো বছর পার হয়নি। ওই বয়সেই এক সড়ক দুর্ঘটানা তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধারকার। ওই দুর্ঘটানায় তাকে একটি পা হারাতে হয়েছে। সেই থেকে পুরো এক বছর ক্রাসের উপর ভর করেই তার চলা ফেরা। গত বছর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথেই সে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পা হারিয়েও সে মাদ্রাসায় গিয়ে পড়া লেখা ছাড়েনি। কিন্তু সবসময় মন খারাপ হয়ে থাকতে। তার কাছে আবার পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় যেতে পারাটা স্বপ্নের বাইরে মনে হতো। তার সেই স্বপ্নাতীত সমস্যার সমাধান দিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ।

জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় সে একটি কৃত্রিম পা পেয়েছে। এখন থেকে জন্নাতুল ফেরদৌস ওই কিত্রিম পায়ে ঁেহটেই মাদ্রাসায় যাবে। গতকাল বুধবার চকরিয়ার পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ এসএআরপিভি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কিত্রিম পা টি প্রদান করেন। কিত্রিম পা পেয়ে জন্নাতুল ফেরদৌস যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। কিত্রিম পা পেয়ে তার চোখে মুখে ঠিকরে বেরোচ্ছে হাসির ঝিলিক। এই পা টি দিয়েই জন্নাতুল ফেরদৌস এখন পুরো জীবন পার করার স্বপ্ন দেখছে। জন্নাতুল ফেরদৌস চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামের ছিড়াপাড়ার কৃষক মোজাহের আহমদের মেয়ে।

চকরিয়ায় বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সোসাল এ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল)’র পিএইচআরপিবিডি প্রকল্পের এপেক্স বড়ির নিয়মিত এ্যাডভোকেসীর ফলে কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে জন্নাতুল ফেরদৌসকে এই কিত্রিম পা প্রদান করা হয়। জন্নাতুল ফেরদৌসকে কিত্রিম পা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন এসএআরপিভি’র আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, রিসোর্চ পার্সন ইয়াছমিন সোলতানা, এপেক্স বড়ির সদস্য নাজমা রিনা, ফিজিও থেরাফি সেন্টারের দেবাশীষ, এহেছান, সেতারা বেগম সেতু ও এরশাদ উল্লাহ। #

পাঠকের মতামত: