ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

খুটাখালী বাজারে দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে অবৈধ দোকান নির্মাণে বাণিজ্যের অভিযোগ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক সহযোগিতায় সম্প্রতি সময়ে উপজেলার খুটাখালী বাজারের উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। উপজেলা পরিষদের তহবিলের উদ্যোগে প্রায় ৮ লাখ টাকা বরাদ্দে বাজারের উন্নয়নে সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চলছে মাছ-তরকারী বাজারের শেড নির্মাণ কাজ।

প্রতিবছর সরকারের কোষাগারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দিয়ে আসলেও জায়গা সংকটের কারনে প্রতিনিয়ত বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পর বাজারের উন্নয়নে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ছাড়াও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ উপজেলা প্রশাসন এবং এমপি জাফর আলমের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ৮ লাখ টাকা বরাদ্দে বাজারের উন্নয়নে সংস্কার কাজ অব্যাহত থাকলেও বর্তমানে উন্নয়ন কাজে বাঁধা হয়ে দেখা দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রের একাধিক অবৈধ স্থাপনার কারনে। বিশেষ করে মাছবাজার শেড এলাকার জায়গা দখলে নিয়ে স্থানীয় কামাল উদ্দিন একটি অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। তিনি ফজল করিম নামের একজনকে ফার্মের মুরগী বিক্রির জন্য দোকানটি লাগিয়ত দিয়েছেন। তারমতো বাজারের তরকারি শেড এলাকায় অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন একাধিক প্রভাবশালী। তাদের মধ্যে আছেন আলী আহমদের বরফকল, সিরাজ কোম্পানীর শুকনো মাছের গুদাম, আবু ছালাম কোম্পানীর শুকনো মাছের গুদাম ও নারায়ন দাশের মুদির মালের গুদাম।

একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ তুলেছেন, বাজারের ভেতরে মাছবাজার শেড ও তরকারি বাজার শেড দখল করে অভিযুক্ত দখলবাজ চক্র অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের মাধ্যমে প্রতিমাসে ভাড়া বাবত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি সময়ে বাজার পরির্দশনে এসে স্থানীয় এমপি আলহাজ জাফর আলম ও চকরিয়ার ইউএনও শিবলী অবৈধ দখলে থাকা এসব দোকান অবিলম্বে অপসারণে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অদ্যবদি তাঁরা এসব অবৈধ দোকানঘর অপসারণ করেনি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলবাজরা দোকানঘর সমুহ অপসারণে নানা ধরণের চক্রান্ত করছে। এ অবস্থার কারণে বর্তমানে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দে বাজারের উন্নয়নে সংস্কার কাজ ব্যহৃতের আশঙ্কা করছেন বাজারের ব্যবসায়ী মহল।

অবশ্য বিষয়টির আলোকে বাজার সমিতি ও ব্যবসায়ীরা পরবর্তীতে এমপি আলহাজ জাফর আলম ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও শিবলী নোমান বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতর করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগের আলোকে খুটাখালী বাজারে অবৈধ দখলে থাকা এসব দোকান মালিককে আমার অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তাদেরকে প্রথমে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। সময় বেঁেধ দেওয়া হয়েছে নিজ উদ্যোগে সরকারি জায়গা থেকে তাদের দোকানঘর সমুহ অপসারণ করে নিতে। তিনি বলেন, তারপরও তাঁরা নিজ উদ্যোগে এসব দোকানঘর অপসারণ না করে থাকলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আজকালের এসব দোকানঘর অপসারণ করা হবে। ##

পাঠকের মতামত: