ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অভিযানের পরও অসাধূ সিন্ডিকেট চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে চকরিয়ায় !

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রশাসনের অভিযানের পরও স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি পেঁয়াজের বাজারে। গত কয়েকদিন ধরে আবারো হু হু করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে চকরিয়া পৌর সদরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ৫০ টাকার পরিবর্তে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত পৌর সদরের বিভিন্ন পেয়াজের আড়ত, পাইকারী ও খুচরা দোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এতে করে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পেয়াজ ক্রয় করতে গিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতারা।

চকরিয়া পৌর সদরে বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, মায়ানমার, ভারত ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমানে পেঁয়াজ আমদানি ও পরবর্তীতে তা খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সিন্ডিকেট ব্যবসার কারণে চকরিয়ায় কমছেনা পেয়াজের দাম। ফলে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া ৫০ টাকা মূল্যের চেয়ে প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশী দামে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভূক্তভোগী ক্রেতারা পেয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এসব অসাধূ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আবারো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

চকরিয়া পৌর সদরের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকরিয়া নিউজকে বলেন, মায়ানমার থেকে আমদানী করা পেয়াজের মধ্যে বস্তাপ্রতি ৪-৫ কেজি পেয়াজ পচে নষ্ঠ হয়ে গেছে। ফলে ওই নষ্ট পেয়াজের মূল্য ভাল পেয়াজের উপর গিয়ে পড়ায় কেজিপ্রতি কিছুটা বেড়েছে পেয়াজের দাম। তবে ভাল পেয়াজ বাজারে সরবরাহ হলে পেয়াজের মূল্য আবারো কমে আসবে বলেও জানান এসব ব্যবসায়ীরা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রির কোন সুযোগ নেই। তারপরও কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি এ নির্দেশনা অমান্য করে বেশী দামে পেয়াজ বিক্রি করেন তাদের বিরুদ্ধে অবারো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

প্রসঙ্গত: জেলা প্রশাসন কর্তৃক বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রির অভিযোগে গত ৩ অক্টোবর চকরিয়া পৌর সদরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। এ সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রি করায় চার মুদির দোকান ব্যবসায়ীকে ১ লাখ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নোংরা ও বাঁসি খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার দায়ে এক হোটেল মালিককে ৪০ হাজার ও পৌর সদরে ফুটপাত ও সড়কের উপর পথচারীদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ফলের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় পাঁচজন ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনেই ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান চালানো হয়।

এ অভিযানের পর কিছুদিন চকরিয়ায় পেয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও আবারো বেশী দামে পেয়াজ বিক্রি করছে অসাধু-সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।

 

পাঠকের মতামত: