ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণে তিন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে তিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। চ্যালেঞ্জগুলো হলো—কক্সবাজার জেলার ভারুয়াখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিতে বসবাসকারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ওই জমি প্রকল্পের কাজে ব্যবহার, চট্টগ্রাম জেলার ৪২ দশমিক ২৪৪ একর ও কক্সবাজার জেলার ১৬৫ দশমিক ১১৩১ একর বনভূমির গাছ কাটার অনুমতি পাওয়া এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আওতাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে।

বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেট ট্র্যাক নির্মাণ হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭২৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। দু’টি প্রকল্পে মোট এক হাজার ৭৪১ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে।

প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ; ভৌত অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় অধিগ্রহণকৃত ১০ দশমিক ১৭২৫ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭৬ দশমিক ৩৫১৫ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৭২ শতাংশ, লোহাগড়া উপজেলার ১৭৭ দশমিক ৯১৬৫ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ, কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ২১০ দশমিক ৪২৬০ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ, রামু উপজেলার ২৭৮ দশমিক ৪৯০৮ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ এবং চকোরিয়া উপজেলার ৫১৪ দশমিক ৯১ একর জমির ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪৫ শতাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। এছাড়া, পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের জন্য সৈয়দপুরে রেলওয়ের অব্যবহৃত জমির ওপর একটি রেলওয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে একটি প্রকল্প যাচাই-বাছাই চলছে।

বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য গৃহীত সমীক্ষা প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৪৮ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠক কমিটি প্রকল্পের কাজের মান যথাযথ রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. শফিকুল আজম খাঁন, মো. সাইফুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহিম এবং গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ অংশগ্রহণ করেন।

পাঠকের মতামত: