ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মহেশখালীর ১ কিমি সড়কের করুণ কাহিনী

মহেশখালী প্রতিনিধি ::  মহেশখালী পৌর সদরের গোরকঘাটা- লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া সড়কে মহেশখালী কলেজ সংলগ্ন এলাকার মাত্র ১ কিঃমিঃ রাস্তা নিয়ে অজ্ঞাত কারণে যত সব বিপত্তি বিড়ম্বনা।

সড়কটিকে প্রশাসনিক সড়কও বলা হয়। কারণ ৪ কিঃমিঃ সড়ক দিয়ে যাতায়াত চলেছে খোদ উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা,উপজেলার সব চেয়ে বড় বাজার গোরকঘাটা বাজা, মহেশখালী ডিগ্রী কলেজ,খালেদ বিন ওয়ালিদ ( রাঃ) মাদ্রাসা ও লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সহ হাজার হাজার জনসাধারণ।

তবুও সড়কটি সংস্কারে উপেক্ষিত। দ্বীপের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের সীমানা প্রাচীরের কলেজের সামনে রাস্তার দৈন্যদশা কি দেখার কেউ নেই? এ প্রশ্ন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী সকল নাগরিকের।

মহেশখালী পৌর এলাকার পুটিবিলা গ্রামের বাসিন্দারা চকরিয়া নিউজকে জানান, সড়কটি পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটির ১কিঃমিঃ অংশ যেন পিতৃহীন সন্তানে পরিনত হয়েছে। পৌর এলাকার অন্যান্য সড়কের মেরামত সংস্কার কাজে আমুল পরিবর্তন ও উন্নয়ন হলেও এ সড়কের একটি অংশের খানা খন্দক, ব্রিজ,কালভার্ট, গাইডওয়াল, নির্মাণ,সংস্কার কিংবা মেরামত করার প্রয়োজনীয়তা পৌর কর্তৃপক্ষের বা উপজেলা প্রশাসন কেউ দায় স্বীকার করে না।

কুতুবজোমের লাল মোঃ সিকদার পাড়ার কালামিয়ার বাজার হতে গোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের খালেদ বিন মাদ্রাসা হতে গোরকঘাটা বাজার পর্যন্ত ১কিলোমিটার সড়কে শুধু মাত্র পুটিবিলার অংশটা সংস্কার কাজ গ্রহণ করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।এখানে দক্ষিন পুটিবিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরের গাইড ওয়াল ধ্বসে গেছে বিগত ৪ বছর পূর্বে। যে কোন সময় কবরস্থানের অংশ ভেঙে পুকুরে নিমজ্জিত হতে পারে। ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।

অপর দিকে মহেশখালী কলেজের দ্বিতীয় গেইট সংলগ্ন ছোট্ট কালভার্টটি মহেশখালী কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের মালামাল পরিবহনের গাড়ি যাতায়ত করার কারণে গত ৪ বছর পূর্বে স্লেপটি ভেঙে যায়। সেই থেকে জোড়াতালি দিয়ে চললেও টেকসই ভাবে সংস্কার করা হয়নি।

সমপ্রতি ঘটিভাঙ্গা আশ্রায়ন প্রকল্পের সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক যাতায়তের কারণে কালভার্টটির উপরের স্লেপটি ভেঙ্গে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিধ্বস্ত কার্লভাটটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে মহেশখালী পৌরসভার প্রকৌশলী সাঈদুল আলম চকরিয়া নিউজকে জানান, বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছ। আপাতত পৌরসভার অর্থায়নে একটি স্লেপ নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

পাঠকের মতামত: