ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ করুন, মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক ::  গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মযার্দার সঙ্গে তাদের নিজ আবাসভূমি রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় নিজ বাসভূমি থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সাথে এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা আবারো মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমারকে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশি নাগরিক ও গৃহহারা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আজ নিউইয়র্কে আরও ১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

এতে বলা হয়, এই তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নয় লাখের অধিক রোহিঙ্গার জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে। দেশ থেকে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সহিংস ঘটনার পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের এ পর্যন্ত ৬৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সংকটের মানবিক সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সহায়তাদানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একার পক্ষে এই সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা সম্ভব নয়, এজন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসতে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, আমরা অন্যান্য দেশ ও স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই ২০১৭ সালেরর ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। -ঢাকাটাইমস

পাঠকের মতামত: