ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

এমন অরাজকতা চাই না: ফখরুল

fakrul,,,নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “পৌর নির্বাচন, সিটি নির্বাচন এমনকি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা সহিংসতা দেখেছি। জনগণ ও বিশ্ববাসী দেখেছে। নির্বাচনের এমন অরাজকতা আমরা চাই না। আমরা চেয়েছিলাম সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।”
বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশব্যাপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইপি) নির্বাচনে তুমুল সহিংসতা হয়েছে। সহিংসতায় ১২ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন।”

সরকার আছে কি- এমন প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, “রাস্তায় বেরুলে দেখা যায়, পুলিশ আছে, আবার পুলিশের সামনেরই পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের থানায় নিয়ে গুলি করা হচ্ছে। তাতে মনে হয় না দেশে সরকার আছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে টাকা লুট করা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকের ঘটনার দুই একদিনের মধ্যেই আবার জনতা ব্যাংকের টাকা লুট করা হয়েছে। এই হলো অবস্থা।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন আনতে না পারলে এ অবস্থার পরির্বতন হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মৌলিক পরির্বতনের কথা বলেছেন। তিনি ভিশন ২০৩০ এর একটি রূপরেখা দিয়েছেন। আলোচনার পর তা চূড়ান্ত হবে।”
ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র সম্পূর্ণ কবরে পাঠিয়ে দিয়ে একদলীয় শাসন জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা আগে বলেছিলাম পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশকে সংহিসতার দিকে ঠেলে দেয়া হলো।”

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপি সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল সম্পূর্ণ করতে পেরেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদেরকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরিতে সংগ্রাম করতে হবে। ২০ দলীয় জোটে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছে তাতে জনগণকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করে জনগণের দাবি আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে।”

যুব জাগপার সভাপতি ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহীম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির সভাপতি খন্দকার গোলাম মর্তুজা, বাংলাদেশে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: