ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কুতুবদিয়ায় অবাধে পর্ণো ছবির রমরমা ব্যবসা

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ::   কুতুবদিয়ায় যত্রতত্র মোবাইল সার্ভিসিং গুলোতে অবাধে আদান-প্রদান হচ্ছে পর্ণো ছবি। অবৈধ ভাবে রমরমা ব্যবসায় নৈতিকতার বালাই নেই যেন। ডিজিটাল যুগের আওতায় শুধু যুব সমাজ নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী সমাজেও ঢুকে যাচ্ছে অবৈধ পর্ণো ভিডিও। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলা সদর,বড়ঘোপ বাজার, আলী আকবর ডেইল, শান্তি বাজার, আলী আকবর ডেইল ঘাটঘর, দরবার রাস্তার মাথা, ধুরুংবাজার, চৌমুহনী বাজার, আকবর বলী ঘাট সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অন্তত ৩ শতাধিক মোবাইল সার্ভিসিং দোকান। এসব দোকানে মোবাইলে গান,বাংলা ছবি, ভারতীয় ছবি, নাটিক সহ পর্ণো ভিডিও সরবরাহ চলে।
ধুরুং বাজারের আক্তার হোছাইন নামের এক ব্যক্তি জানান, বাজারের প্রতিটি মোবাইল সার্ভিসিং,কম্পিউটার দোকানগুলোতে সিনেমা,নাটক ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নোংরা পর্নো ভিডিও লোডের ব্যবসা জমজমাট। শুধু তাই নয় বাজারের পূর্ব পাশে একটি দোকানে কুতুবদিয়ার পর্নো ভিডিও মোবাইলে লোড দেয়ার কথা জানান তিনি। ওই দোকানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় ছবি তুলতে এলেও গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করে মেয়েেেদর জিম্মি করে নানা ভাবে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। কাউকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও দেয়া হয়। এমন ঘটনায় কলেজ পড়–য়া একটি ছাত্রী এখন দ্বীপ ছাড়া।
লেমশীখালী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান,চৌমুহনী বাজারে একটি মোবাইলের দোকানে মেমোরিতে বাংলা নাটক লোড দেয়ার জন্য পাঠালে পরে দেখা যায় মেমোরিতে পর্ণো ভিডিও ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। একই ভাবে ধুরুংবাজারের একটি দোকানে বাংলা ছবি লোড দেয়ার জন্য মেমোরি দিলে সেখানেও পর্ণো ছবি লোড করে দেয় অপারেটর। গ্রাহকের অজান্তেই কতিপয় অপারেটর এমন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও সরবরাহ দিয়ে পারিবারিক পরিস্থিতি বিব্রতকর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওই মহিলা।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারগুলোর অধিকাংশই পর্ণোভিডিও নির্ভর। স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ গ্রামের তরুণ-যুবতী,গৃহিনীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও। অভিভাবক মহল শংকিত হলেও প্রশাসনিক নজরদারি কম থাকায় অবাধেই চলছে এসব। যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা মোবাইল সার্ভিসিং এর নামে অশ্লীল নীল ছবির বেচা-কেনা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, বিনোদন-সংস্কৃতির নামে অবৈধ ভাবে অশ্লীল ছবি বা পর্ণো ছবি প্রদর্শন কিংবা সরবরাহ বেআইনী। জড়িত মোবাইল সার্ভিসিংগুলোর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: