ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বখাটের উত্ত্যক্ত থেকে বাঁচতে অটোরিক্সা থেকে লাফ কলেজ ছাত্রীর মুমূর্ষ অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় উত্ত্যক্ত করার সময় সিএনজি অটোরিক্সা থেকে লাফ দিয়ে চালকসহ বখাটেদের হাত থেকে বাঁচলেন চকরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শামশুন্নাহার মুন্নি (১৮)। তবে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম হয়।

এ সময় স্থানীয় জনতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আজ ২৭আগষ্ট, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার জিদ্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের কন্যা।

উত্ত্যক্তের ঘটনায় জড়িত চালকসহ পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে পুলিশ শনাক্ত করতে পেরেছে। তারা হলেন কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ লোটনী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক কবির হোসেন (২৫) ও যাত্রীবেশে থাকা বখাটে একই ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী গ্রামের বশির আহমদের ছেলে রাজমেস্ত্রী জিকু (২৪)।

শিক্ষার্থীর নিকটাত্মীয়রা জানান, আজ কলেজ ছুটি শেষে পৌরশহর চিরিঙ্গা থেকে নিজ বাড়ি কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিক্সায় উঠে ওই শিক্ষার্থী। তবে ওই অটোতে অন্য যাত্রীরা ছিল সকলেই পুরুষ এবং সমবয়সী। পথিমধ্যে বখাটেরা অটোর ভেতর উত্ত্যক্ত করছিল শিক্ষার্থীকে। তখন শিক্ষার্থী উত্ত্যক্ত থেকে বাঁচতে চলন্ত অবস্থায় সড়কে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান চকরিয়া থানার একদল পুলিশ। দলে নেতৃত্ব দেওয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, অটোর চালক এবং যাত্রীবেশে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আরো একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তারা আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: