অনলাইন ডেস্ক ::
জামালপুরের ডিসির সাথে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরপরই ডিসি কবীর আহমেদের সাথে সাথে আলোচনায় আসেন জেলা প্রশাসন অফিসের গোপনীয় শাখার অফিস সহকরী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।
মূলত ভিডিওতে ডিসির সাথে এই নারীই ঘনিষ্ঠ হবার কথা জানা যায়। ফলে তাকে নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠে নানা দিকে।
জামালপুরের ডিসির সাথে আপত্তিকর ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া সেই আলোচিত ডিসি অফিসের পিয়ন সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে নিয়ে অনেকের কৌতুহল।
সাধনার বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলা বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী গ্রামে। ঐ গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি খাজু মিয়া ও কুমকুম বেগমের দত্তক নেয়া মেয়ে সাধনা। রোগের কারণে ছোটবেলা থেকেই তার মাথার চুল ও ভ্রু উঠে যায় এবং সেই থেকেই তিনি মাথায় কৃত্রিম চুল লাগিয়ে নিয়মিত হিজাব ব্যবহার করেন, এমনটাই জানা গেছে পরিবার সূত্রে।
গ্রামে থাকতেই বাল্যবিয়ে হয় জোনাইল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ফরহাদের সাথে। বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করতে তিনি। এক ছেলে সন্তানও আছে তাদের। একপর্যায়ে সাধনা আর স্বামীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলো না। এরই মধ্যে ২০০৯ সালে ফরহাদের আকস্মিক মৃত্যু হয়।
স্বামীর মৃত্যুর পর তারা মা-বাবার সাথে জামালপুর শহরের বগাবাইদে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন সাধনা। এরপর থেকেই তার বেপরোয়া চলাফেরার শুরু। স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে জনৈক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক হয়। ওই কর্মকর্তা তড়িঘড়ি করে বদলী নিয়ে চলে যান। এরপর টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তিনি।
একপর্যায়ে সেই স্বামীর সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়। সম্প্রতি ডিসি অফিসে পিয়ন পদে চাকুরির সুবাদে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ডিসির। অভিযোগ আছে, ডিসি অফিসের কিছু নিয়োগ বাণিজ্যেও এই নারী জড়িত ছিলেন। – সুত্র : যমুনা
পাঠকের মতামত: