ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দু’বছর পূর্তিতে ৫ দফা দাবি আদায়ে রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ

সমাবেশের অনুমতি রয়েছে : আরআরআরসি

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: আজ ২৫ আগস্ট রোববার রোহিঙ্গা শরনার্থী আগমনের দু’বছর পূর্ণ হলো। ২০১৭ সালের এদিনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থী আগমনের ঢল নেমেছিল। এদিন থেকে পরবর্তী প্রায় একমাস পর্যন্ত প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থী বাংলাদেশে আগমন করে। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরনার্থী ক্যম্পে থাকা এসব শরনার্থীদের মাঝে আরো প্রায় ৯২ হাজার শিশু জম্ম নিয়েছে। রোহিঙ্গা আগমনের দু’বছর পূর্তি ও তাদের ৫ দফা দাবিতে প্রকাশ্যে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা। সমাবেশে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা ৫ দফা দাবী ও নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেয় ও অঙ্গীকার করে। চট্টগ্রামে আঞ্চলিক ভাষায় দাবী আদায়ের মূহুর্মূহ শ্লোগান, প্লেকার্ড, ফেস্টুন আর ব্যানারে ছেয়ে যায় সমাবেশস্থল।

রোববার ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের এক্সটেনশন-৪ এ অনুষ্ঠিত সমাবেশ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পদভারে কানায় কানায়পূর্ণ ছিলো। দাবি আদায়ে উত্তাল ছিলো এ সমাবেশ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটির চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিব উল্লাহ, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ অন্যান্য নেতারা। কিন্তু এসব রোহিঙ্গা নেতারা ক্যাম্প এরিয়ায় প্রবেশের কোন অনুমতি নেয়নি। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে পূর্ব থেকে ঘোষনা দিয়ে এরকম দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় স্থানীয় জনগণ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এবিষয়ে শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম এনডিসি (অতিরিক্ত সচিব) জানান ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য একটা কঠিন দিন। এ দিনে তারা তো একটা সমাবেশ করতেই পারে। এজন্য কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এবিষয়ে উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন-রোহিঙ্গা শরনার্থীরা সমাবেশ করার বিষয়টি জেনেছি। তবে অনুমতির বিষয়টা তিনি জানেননা বলে জানান।

উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর কে জানান-সমাবেশে অপ্রীতিকর কোন কিছু ঘটেনি। তবে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টা ক্যাম্প ইনচার্জ জানবেন বলে তিনি জানান। এবিষয়ে উখিয়ার গণমাধ্যম কর্মী নুর মোহাম্মদ সিকদার, রফিকুল ইসলাম ও গফুর মিয়া চৌধুরী রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন-এ ধরনের সমাবেশের কারণে রোহিঙ্গাশরনার্থীরা আরো ভয়ংকর, মারমুখী ও হিংস্র হয়ে উঠবে। যেটা স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রশাসনের জন্য পরে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এই ৩ জন স্থানীয় নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মী রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসনে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ ছাড়া উখিয়া নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ নামের স্থানীয় জনসাধারণের গড়া একটি সংগঠন আগামী ৩১ আগস্ট শনিবার দ্রুত রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসনের দাবীতে উখিয়া স্টেশন চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

পাঠকের মতামত: