কক্সবাজারের চকরিয়ায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বের করা বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় চারদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চকরিয়া ও নিত্যানন্দ গীতা সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আজ শুক্রবার প্রথমদিন সকালে পৌরশহরের চিরিঙ্গা কেন্দ্রীয় হরিমন্দির থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের হাজারো নর-নারী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সমবেত হয়। শোভাযাত্রাটি মন্দির থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং চকরিয়া থানা সেন্টার থেকে ফুলতলা দিয়ে ফের মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে মন্দির প্রাঙ্গনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ডা. তেজেন্দ্র লাল দে’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. শফিকুল আলম চৌধুরী। জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া পৌরসভার সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি ধনরঞ্জন দাশ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুকুল কান্তি দাশ। উপস্থিত ছিলেন জাগো হিন্দু পরিষদ কক্সবাজার জেলার সভাপতি ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, কেন্দ্রীয় হরিমন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রদীপ দাশ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক টিটু বসাক, বিকাশ ধর মহাজন প্রমূখ। পরে অতিথিবৃন্দ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে একসঙ্গে মঙ্গল শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, জন্মাষ্টমীতে গতকাল থেকে শুরু হওয়া নানা অনুষ্ঠান চলবে চারদিনব্যাপী। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে এদিন বিকেলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা, জন্মাষ্টমী পূজা। পরদিন শনিবার বিকেলে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস, রাতে চট্টগ্রামের অনন্যা দত্ত ও তার দলের পরিবেশনায় লীলা কীর্ত্তণ ও ধর্মীয় আলোচনা। পরদিন রবিবার ভোর থেকে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ। এদিকে উপজেলার ডুলাহাজারা, বরইতলী, হারবাংসহ বিভিন্ন স্থানে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বের করা হয় র্যালি এবং চলে আলোচনা সভা। এসব অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি জাফর আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পাঠকের মতামত: