ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ, বালির পরিবর্তে দিচ্ছে রাবিস

পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া ॥   কক্সবাজারের উখিয়ায় হারুণ মার্কেট থেকে তুলাতলী সড়ক নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণ কাজে বালির পরিবর্তে পরিত্যাক্ত ইটের রাবিস ব্যবহার করার কারণে বুধবার কাজ বন্ধ করেছে দিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত ৭ মাস যাবৎ রাস্তাটি খুলে রাখায় জনদূর্ভোগ যেমন বেড়ে গেছে অপর দিকে ঠিকাদার শাহ নেওয়াজ নিজের এমআরসি ব্রীক ফিল্ড থেকে রাবিস দিয়ে রাস্তার কাজ করায় বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সাবেক মেম্বার আবুল ফজল জানান, রতœাপালং ইউনিয়নের তুলাতুলি, পূর্বকুল, ফৈজাবাপের পাড়া, খলুর বাপেরপাড়া এবং বিজিবি ক্যাম্প সহ পার্বত্য বান্দরবানের বিজিবি হারুফকির পাড়া একাধিক গ্রামের চলাচলের মাধ্যম এই সড়ক। দীর্ঘ ৬ মাসের অধিক সময় ধরে এই সড়কের নির্মাণ কাজ ৫০% শেষ হয়নি। নানা অনিয়ম ছাড়াও নির্মাণ কাজেও বালির পরিবর্তে রাবিস ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অনিয়মে বাঁধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের হেনস্তা করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বালির দাম বেশি বলে বেশির লাভের আশায় ঠিকাদার পরিত্যক্ত রাবিস দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। নির্মাণ কাজে যে অংশটুকু সম্পন্ন করা হয়েছে। ঐ কাজেও বালির পরিবর্তে পাহাড়ী মাটি দিয়ে যেনতেন ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছে।

উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ঈমাম হোসেন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের অচলাবস্থার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এমনকি একটি মৃতদেহ কবরস্থানে নেওয়ারও ব্যবস্থা নেই।

রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে অনিয়ম হলে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার শাহ নেওয়াজ বলেন, বৃষ্টি বাধাঁয় কাজের ধীরগতি এবং জনচলাচলের সুবিধার্থে রাবিশ দেওয়া হয়েছে তবে পরে বালি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো: রবিউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে ঠিক ভাবে কাজটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ২১শ মিটার কাজ শেষ হয়েছে। বাকী আছে ৭শ মিটার। বালির পরিবর্তে রাবিস দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে হাটাচলার সুবিধার্থে সামান্য কিছু অংশে রাবিস দিলেও তা তুলে পরবর্তীতে বালি দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

পাঠকের মতামত: