ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া পৌরশহরের ফুটপাত অসহ্য যন্ত্রনার এক ভয়ানক চিত্র! প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ার পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে চিরিঙ্গা পুরাতন বাস ষ্টেশন পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে^ ফুটপাত দখল করে কয়েকশত ভাসমান দোকান বিভিন্ন প্রকারের মালামাল বিক্রি করে আসছে।
রাস্তা দখল করে এসব দোকান বসানোর কারনে শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধ মানুষের স্বাভাবিক যাতায়ত এক দূর্বিসহ অসহ্য যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও টমটম, অটোরিক্সা, সিএনজি, প্রাইভেট কার ও নোহাসহ বড় যানবাহন গুলো এ পথে যদি একবার ডুকে পড়ে এক কিলোমিটার সড়কের নাজুক পরিস্থিতির মানুষকে মৃত্যুর যন্ত্রনার চেয়ে বেশী কষ্ট দিয়ে থাকে।
বিশেষত মুমুর্ষ রোগীদের সরকারী হাসপাতালে পৌঁছাতে ভয়ানক যন্ত্রনার শিকার হতে হয়।
চকরিয়া সরকারী বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ডজন খানেক স্কুল-কলেজের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের যানজটে পড়ে দুর্ভোগের অন্ত থাকেনা।
চকরিয়া পৌরশহরের বানিজ্যিক এলাকাটিতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাশ^বর্তী বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা-আলীকদম ও কক্সবাজার জেলার পেকুয়া-সমুদ্র উপকুলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়া-মহেশখালী থেকে হাজার হাজার নারী-শিশু ও পুরুষ সওদা করতে আসেন চকরিয়া সদরের মার্কেট গুলোতে। মানুষের ভীড়ে এক কদম রাস্তা অতিক্রম করতে এক মিনিটের স্থলে অধ ঘন্টা পর্যন্ত জন¯্রােতের ভীড়ে আটকা পড়তে হয়। এ দৃশ্য প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বহাল থাকে।
ফুটপাতের অসহ্য ভীড়ের মাঝে দুষ্ট প্রকৃতির কিছু বখাটে ছেলেদের হাতে মা-বোনদের ইজ্জত, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। এ সব কিছু দেখার দায়িত্বে যারা আছেন তারা চলাফেলা করেন সরকারী ভাবে দেয়া মূল্যবান গাড়ি নিয়ে। ফলে রাষ্ট্রের মালিক জনগনের ভোগান্তি তাদের চোখে পড়েনা।
চকরিয়া পৌরশহরের ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা-বানিজ্য করে তাদের কাছ থেকে দৈনিক ভাড়া আদায় করে একটি চিহ্নিত মহল যার কারনে অতীতে প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে যৌতভাবে শতবার উচ্চেদ অভিযান চালানোর পরও রহস্যজনক কারণে এক সপ্তাহের অধিক স্থায়ী থাকেনি।
কথায় বলে কুকুরের লেজ চুঙ্গায় যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সোজা থাতে, চুঙ্গাটি খসে পড়লে আবার বাঁকা হয়ে যায়। এ হচ্ছে চকরিয়া নাগরিকদের অসহ্য যন্ত্রণার কাহিনী।

পাঠকের মতামত: