ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট, রাতেও চলছে বেচাকেনা

চকরিয়ায় শেষমুর্হুতে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট, রাতেও চলছে বেচাকেনা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

আগামী ১২ আগস্ট সোমবার অনুষ্টিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। একেবারে শেষমুর্হুতে এসে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সরকারি ও মৌসুমী মিলিয়ে অন্তত ২২টি পয়েন্টে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বাণিজ্যিক জনপদ কিংবা স্টেশনে এসব পশুর হাট গুলো বসেছে। বর্তমানে প্রতিটি পশুর হাট দুপুর থেকে জমজমাট হয়ে উঠছে। বিক্রি চলছে রাত অবদি। রাতে বেচাকেনা নিবিঘœ করতে প্রতিটি বাজারে লাইটিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইজারদারপক্ষ।

জানা গেছে, আগস্ট মাসের শুরু থেকে এসব হাটে কোরবানী পশু বিক্রি একটু একটু করে শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বেশিরভাগ হাটে বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। তবে প্রতিটি হাটে স্থানীয় গৃহস্তালী মানুষের পালিত ছাড়াও মায়ানমার এবং ভারত থেকে আসা আমদানির প্রচুর গরু বাজারে আসছে। শেষ মুহুর্তে বাজারে জোরেশোরে কোরবানি পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বাজার ইজারদার পক্ষের লোকজন।

সরেজমিন কয়েকটি পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানী পশু বিক্রি করতে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে বাজারে দিনভর মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এবার কোরবানি পশুর হাটে বেশি আসছে দেশি গরু। এছাড়াও বাজার এলাকার বাইরে ছোট বড় আকারের বেশকটি খামার রয়েছে।

স্থানীয় গরুর খামারি ইলিয়াস বলেন, ‘এক বছর আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০টি গরু কিনেছি। এসব গরু খামারে রেখে তিনবেলা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই। মিয়ানমার থেকে গরু কম এলে ক্রেতার কাছে দেশি গরুর কদর বেশি থাকে।’

পশুর হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, ছোট আকারের দেশি গরু প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। মাঝারি আকারের ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা কিংবা আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এবার কোরবানি পশুর হাটে চকরিয়ার সবচে বড় গরুটি পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা গ্রামের বাসিন্দা বাদলের। গরুটির নাম রেখেছেন ‘রাজ কুমার’। দাম হাকিঁয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাম উঠেছে।

পশুর হাটের বেশিরভাগ ইজারাদার জানান, বাজারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। বসানো হয়েছে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) একেএম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোরবানি পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পশুর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। প্রতিটি পশুর হাটে সাদা পোশাকের পাশাপাশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।##

পাঠকের মতামত: