ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাতারবাড়ীর পশ্চিমের বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী

মহেশখালী প্রতিনিধি :: মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নয়াপাড়াস্থ বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্রায় ১৫ টি বসত ঘর ও গোয়াল ঘর ভেসে গেছে। আরো ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঐ এলাকার একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ী ঘর। গত রমজানের ঈদের পর ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঐ এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়ায় ঐ এলাকার ভাঙ্গনের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড আর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তারা শুধু মুখে আশ্বাস দিয়ে আসছে । পানি নিস্কাশনের সকল সুইচ গেইট কোলপাওয়ার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়ে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানি ঢুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করছে মাতারবাড়ীবাসীকে। এ ছাড়া মাতারবাড়ীর পশ্চিমে সাগর চ্যানেল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় পশ্চিমের দীর্ঘতম চরটি বিলিন হয়ে যাওয়ায় সাগরের প্রবল ডেউ সরাসরি আঘাত হানছে বেড়িবাঁধের উপর। যার ফলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া কাদা মাটি, বালি ও ময়লা আর্বজনা গভীরতম কোহেলিয়া নদীতে পড়ায় নৌ-যান চলাচল করতে বিঘ্ন ঘটেছে । কোহেলিয়া নদী মাতারবাড়ীর ভূমিপৃষ্ট থেকে উচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি ও বাড়ী ঘরের ব্যবহারের বর্জ্য কোহেলিয়া নদীতে পড়তে না পারায় পুরো বর্ষায় রাস্তা- ঘাট ভরপুর হয়ে যায়। মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ আরো বলেন, দ্বিতীয় টুঙ্গি পাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ীর এসব দৃর্শ্য সরেজমিনে দেখার জন্য অত্র এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা বলেন, মাতারবাড়ি ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানি ঠেকাতে ৭০০ মিটার জিও টিউব দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বর্ষা শেষে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: