ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

স্কুল পর্যায়ে থেমে নেই এনজিওর কান্ড; মাথা খাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::

বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর থেকে কক্সবাজারের ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া-টেকনাফে অবাধে চলছে এনজিওর কার্যক্রম। জানামতে শিবিরে প্রায় দেড় শতাধিক দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করে চলছে বর্তমানে।

তন্মধ্যে কতিপয় এনজিও সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছেন স্কুল-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এনজিওদের এই কাজে স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্থানীয়রা এ বিষয়ে সমালোচনা করছেন বিগত দীর্ঘমাস ধরেই। পূর্বে এনিয়ে অনেক গণমাধ্যমে বহু প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু হতাশার বিষয় সে দিকে তথাকথিত এনজিওরা কর্ণপাত করেনি। তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন মানবতার নাম দিয়ে রমরমা ব্যবসা। স্কুল পর্যায়ে এনজিওর এই ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও (ফেসবুক) অনেক সমালোচনা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। সাম্প্রতিক ঘটিত এনজিও কর্মীদের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়েও ফেসবুকে নিন্দাসূচক ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।

পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের কাঙ্খিত ফলাফল নিয়ে তাঁদের অভিভাবকেরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। জানা যায়, স্কুল পর্যায়ে এনজিওদের প্রোগ্রামে প্রতিষ্ঠানের বেশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সপ্তাহে ২-৩ দিন সেশন করা হয়। অভিভাবকদের দাবি, স্বল্প কিছুর বিনিময়ে তাঁরা আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যে কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন যা অননুভবনীয় ও অন্যদিকে তাঁরা আমাদের ছেলে সন্তানদের মাথা খাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাধ্যমিক শিক্ষক জানান,”এনজিওরা তাঁদের প্রোগ্রাম সফল করার জন্য খাতা, কলম, ব্যাগ ও টিফিনের নাস্তা সহ স্বল্প কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে সেশন করান। কতিপয় অচৈতন্য ছাত্রছাত্রীরাও প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে থাকেন যা তাঁদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটায়।”

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,”কতগুলো এনজিও পালংখালী ইউনিয়নের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করে শিক্ষা প্রতিষ্টানকে ক্লাব ঘর বানানোর পায়তারা করছে। তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের আহবান জানায়।যেসব এনজিওর দ্বারা শিক্ষার ক্ষতি হবে সেসব এনজিওর সহায়তার প্রয়োজন নেই। সেসব এনজিওকে পালংখালী ইউনিয়নের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থান না দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ ও অভিবাবকদের সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: