ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে ভূয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি বিক্রি : আটক ১

সোয়েব সাঈদ, রামু :: রামুতে ভূয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শীর্ষ আসামী নির্মল ধরকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। আটককৃত নির্মল ধর রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বণিকপাড়া এলাকার মৃত হরি ধরের ছেলে।

মামলার বাদি মৃত পরিক্ষিত ধরের ছেলে অজয় ধর জানান, তিনি পিতার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ভিট-বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন। কিন্তু ওই জমির বিএস খতিয়ানে প্রজা কলামে ভুলক্রমে রামচন্দ্র ধর নামে অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে আটক নির্মল ধর, একই এলাকার মৃত শ্যামাচরণ বড়–য়ার ছেলে শশাংক বড়–য়া এবং শশাংক ধরের ছেলে অজিত চন্দ্র ধর সহ একটি জালিয়াতচক্র জমিটি গ্রাস করার কুমানসে বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ১৯ মে নির্মল ধর নিজেকে রামচন্দ্র ধরের পুত্র সাজিয়ে ভূয়া ওয়ারিশসনদ দিয়ে এ জমিটি শশাংক বড়–য়াকে বিক্রি করে দেন। অথচ জমি বিক্রেতা নির্মল ধরের প্রকৃত পিতার নাম হরি ধর।

এদিকে ২০১০ সালেই অজয় ধরের পিতা পরিক্ষিত ধর বিএস খতিয়ানের ভুল সংশোধনের লক্ষ্যে বিজ্ঞ রামু সহকারি জজ আদালতে অপর-২১১/২০১০ ইং মামলা করেন। জালিয়াত চক্রের সদস্য অজিত চন্দ্র ধর তপশীলোক্ত জমি চিনেন মর্মে শনাক্ত করেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি জবর-দখলকারি চক্রের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে গত ৪ মার্চ কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা (নং সিআর ৭১/২০১৯) দায়ের করেন হয়রানির শিকার অজয় ধর।

গত ২৩ জুলাই বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন জালিয়াতির মাধ্যমে জমি বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত নির্মল ধর এবং অজিত চন্দ্র ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে সমন ইস্যু করেন। ২৮ জুলাই এ মামলায় বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত প্রধান অভিযুক্ত নির্মল ধরের জামিন নামঞ্জুর করে তাতে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

অজয় ধর আরো জানান, ভূয়া কাগজপত্র ও জালিয়াতির মাধ্যমে জমিটি নেয়ার পর জালিয়াত চক্রের সদস্য শশাংক বড়–য়া সহ তাদের সহযোগিরা তাদের বসত ভিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। এমনকি খতিয়ান সংশোধনের মামলা করায় তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ভাড়াটে লোকজন দিয়ে ভিটে-বাড়ির বিপুল গাছপালা কেটে লুটপাট চালায় ভুয়া ক্রেতা শশাংক বড়–য়া।

এদিকে পুলিশের তদন্তে মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শশাংক বড়–য়াকে রহস্যজনক কারনে বাদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন জমির মালিক অজয় ধর। তিনি বলেন, এতে ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: