ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় দুই গ্রামবাসির মধ্যে সংর্ঘষ গোলাগুলি, স্কুলশিক্ষার্থী সহ আহত-৮

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একপক্ষের এলোপাতাড়ি গোলাগুলিতে স্কুল ছাত্রসহ অন্তত আটজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারমধ্যে গুরুতর অবস্থায় আহত দুইজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় ডেমুশিয়া ইউনিয়নের ঢেমুশিয়া বাজার এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটিদল তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের হেতালিয়া পাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মো.সেলিম, গান্ধিরপাড়া এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে শহিদ, একই এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে রাকিব ও তেচ্ছাপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে খোকনের নেতৃত্বে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ডেমুশিয়া ইউনিয়নের ঢেমুশিয়া বাজার এলাকায় হেতালিয়া পাড়া ও জমিদার পাড়া এলাকার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। ওইসময় ঘটনার একপর্যায়ে হামলাকারী হেতালিয়া পাড়া পক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে বাজারে গিয়ে জমিদার পাড়া এলাকার লোকজনকে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি শুরু করে। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ও বাজারে আসা বিভিন্ন লোকজন দিক-বিদিক ছুটে পালিয়ে যায়। এতে স্কুল ছাত্রসহ অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

আহতরা হলেন, ডেমুশিয়া ইউনিয়নের জমিদার পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে নেছার উদ্দিন (২৫), একই এলাকার আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মফিজুর রহমান (২৪), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (২২), মৃত সিরাজ আহমদের ছেলে মো.হাসান (৩৬), ডেমুশিয়া জিন্নাত আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও জমিদার পাড়া এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে ওয়াসিম আকরাম ছোটন (১৫), মো.হাসান প্রকাশ পেঠানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৭)। এছাড়াও আরো ৩-৪জন দিক-বিদিক পালানোর সময় আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আমির হোসেন ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার (ওসি) তদন্ত এ.কে.এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তিনি বলেন, এখনো ঘটনার বিষয়ে কোনপক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: