ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের কক্সবাজার শরনার্থী শিবির পরিদর্শন: প্রত্যাবাসনের দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন মিয়ানমারের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

একাধিক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় উপর খোঁজ খবর নেন।বেশির ভাগ রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে রাজী আছে।তবে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।অন্যথায় ফিরে যাবে না। রোহিঙ্গাদের বোঝানো হবে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর একটার দিকে প্রত্যাবাসন ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারেরর উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।

ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সিআইসি অফিস কক্ষে আড়াইটার দিকে ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে করেছেন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। এর পাশেই মিয়ানমারের নাগরিত্ব দিয়ে প্রত্যাবাসনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন রোহিঙ্গাদের আরেকটি অংশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ করেছেন রোহিঙ্গারা।

এ সময় রোহিঙ্গারা বলতে থাকেন, আমরা বাঙালি নই, আমরা রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আমাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা ফিরে যাব না।তারা আরও বলেন, আমাদের মা-বোনদের যে নির্যাতন করা হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরও বিচার করতে হবে।এর আগে তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে মিয়ানমারের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

তাদের সঙ্গে রয়েছেন ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম সরওয়ার কামাল ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

রোহিঙ্গা সমস্যা স্হায়ী সমাধানের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর সহ ১৯৭৮ ও১৯৯২ সালের মতো মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বি পাক্ষিক ভাবে এ সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

তারপর ও দ্বি পাক্ষিক চুক্তি অনুসরণ করে নিরাপদ;সম্মান জনক ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাদের জন্য দৃশ্যমান সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার ব্যর্থ হয়েছে।মিয়ানমার চরম অনাগ্রহের কারণে এখনো রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর স্বদেশে প্রত্যাবাসন শুরুর কাযক্রম অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছে ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরপর দফায় দফায় চেষ্টা করেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিনিধি দল পাঠালো মিয়ানমার।

পাঠকের মতামত: