ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কাঁচা বাজারে আগুন, মরিচের ঝাঁজ আরো বেশি

শাহীন মাহমুদ রাসেল :  কক্সবাজারের বাজারগুলোতে শাক-সবজির দামে এক রকম আগুন লেগেছে। কাঁচা মরিচের ঝাঁজ তো আরো বেশি। কয়েকটি সবজি বাদে প্রায় সব শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকার উপরে। বাজারে এসে দাম শুনে অবাক হতে হয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে শাকসবজির এমন উচ্চ দামে বিক্রেতাদের মাঝেও নেই খুশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বস্তি। বাজারে এসে যেন তারা একরকম হতাশ। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ে তাদের মাঝে তেমন কোনও উদ্বেগ না থাকলেও শাকসবজি কিনতে এসে হতাশ তারা। দাম শুনে যেন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে। কি কিনবেন আর না কিনবেন তা নিয়ে যেন দিশেহারা ক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, গেল কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষি ও ব্যবসায়ীদের। যা পুষিয়ে নিতেই চড়া পাইকারি বাজার। ফলে এক সপ্তাহ ধরে বাজারের পারদ নামছে না।

বড় বাজারের ক্রেতা রহিমা আফরোজ বলেন, বাজারে প্রায় সব শাকসবজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার উপরে। ঢেঁড়শ কেজি প্রতি ৭০, পাইকারি দর ৬৫ টাকা। করলাও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। গাঁজর কেজিতে ১শ’ টাকা; পাইকারি ৮৫ থেকে ৯০টাকা, একটা লাউয়ের দাম ৭০ টাকা। যে লিস্ট নিয়ে বাজার করতে এসেছিলাম তা হয়তো আর কেনা হবে না। সবজি বিক্রেতা সোহেল বলেন, দাম শুনলেই ক্রেতাদের মুখটা যেন মলিন হয়ে যায়। তাদের এই মলিন চেহারাটা দেখতে আমাদেরও কষ্ট হয়। দাম বেশি হওয়ায় কোন সবজি এক কেজি কেনার টার্গেট থাকলে তা আধা কেজি কিনেন ক্রেতারা।

বাহারছড়া বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আমানুল ইসলাম বলেন, বাজারের সব সবজির দাম চড়া। ভালো কোন মাছ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে পরিবার নিয়ে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শশা, পটল, টমেটো আর পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বেগুন বরবটি চিচিঙ্গা কাঁকরোল শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। দীর্ঘদিন থেকে সেই একই দামে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

এদিকে প্রকারভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের মত ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। ফার্মের মুরগি ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২১০ টাকা। এবং পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০-৬০০ টাকা কেজি। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়। মাংসের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে।

পাঠকের মতামত: