ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় বছরে ২ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন

নিউজ ডেস্ক ::   জেলায় বছরে মাছ উৎপাদন হয় ২ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন, চিংড়ি ২৫ হাজার মেট্রিক টন, ইলিশ ৩৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এছাড়াও অভ্যন্তরীন জলাশয় থেকে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। বছরে জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গতকাল বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, ‘জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৬ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশে^ অভ্যন্তরীন জলাশয়ে মৎস্য আহরনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ ও মৎস্য চাষে পঞ্চম। ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয় দেশের অর্থনীতিতে বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। দেশের সমৃদ্ধি ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীন ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। সাম্প্রতি বছরগুলোতে মৎস্যখাতের অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ অর্জনকে টেকসই করার লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি, অতিআহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন এবং মানবসৃষ্ট নানাবিধ কারনে জলাশয়ের পরিমান ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। কৃষি জমিতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার ও কলকারখানার দূষিত বর্জ্যে আমাদের প্রাকৃতিক ও মুক্ত জলাশয় ক্রমশ দূষিত হচ্ছে। আর এ দূষনের অন্যতম শিকার হচ্ছে দেশের মৎস্যসম্পদ।’
এসএম খালেকুজ্জামান আরও বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষকে মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করা এবং এ সম্পদকে সংরক্ষন ও উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপিত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও পেশাজীবী মহলে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য বর্ণাঢ্য সড়কর‌্যালী, জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, তিন দিন ব্যাপী মৎস্যমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।’

পাঠকের মতামত: