ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

মাতামুহুরী নদী থেকে বালু চুরি রোধে অভিযান : সরঞ্জাম জব্দ, জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  অবশেষে অভিযান শুরু হয়েছে চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে যন্ত্র (মেশিন) বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনযজ্ঞের বিরুদ্ধে। প্রথমদিনের অভিযানে একসঙ্গে জব্দ করা হয়েছে তিন পয়েন্টের শ্যালো ও ড্রেজার মেশিন। জব্দ করা হয় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত বেশকিছু পাইপ ও বিপুল পরিমাণ বালু। এসব সরঞ্জাম পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আটক করা হয় বালু উত্তোলনে নিয়োজিত এক কর্মচারীকে। তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করার পর নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। গতকাল বুধবার দুপুরে নদীর পৌরসভা-বেতুয়াবাজারস্থ আমান্যারচর, পূর্ব বড় ভেওলার সেকান্দর পাড়ার দুই পয়েন্টে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত। সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) রাহুল বিশ্বাস, থানার উপরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, সার্ভেয়ার শাখাওয়াত হোসাইন, তহসিলদার হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সরকারি দলের কতিপয় নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা মাতামুহুরী নদীতে শক্তিশালী শ্যালো ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার পর তা ব্যক্তিমালিকানাধীন ফসলি জমিতে স্তূপ করে রাখছিল। এতে চাষাবাদ তো দূরের কথা প্রতিবাদ করতে গেলেই হামলা-হয়রানির শিকারও হতে হয়েছে অনেককে। এমনকি এভাবে বালু তুলতে গিয়ে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে চোরাবালি। এসব চোরাবালিতে পড়ে ইতোমধ্যে বেশ কজন শিশু-যুবকের সলিল সমাধি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারে নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘মাতামুহুরী নদীর একটি পয়েন্টেও আর অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন সহ্য করা হবে না।’

পাঠকের মতামত: