ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

লামায় ব্রিজ ধসে ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::   বান্দরবানের লামা পৌরসভায় একটি ব্রিজ ধসে তিন গ্রামের সহ¯্রাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে তারা ভোগান্তিতে পড়েছে। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকালে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মধুঝিরি মার্মা মাষ্টার পাড়া সংলগ্ন নুনার ঝিরির উপরে নির্মিত ব্রিজটি বর্ষার টানা বৃষ্টিতে প্রচুর পানি আসলে ¯্রােতের ধাক্কায় একাংশ ধসে পড়ে এবং অসংখ্য জায়গায় বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিরাজ বলেন, যে কোন সময় ব্রিজটি ঝিরিতে পড়ে যেতে পারে। এতে করে হতাহতের আশংকা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা পৌরসভার ৩, ৭নং ওয়ার্ড ও সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত নুনারঝিরি নামক এই ঝিরিটির দুইপাশ খনন করা হয়। খনন কাজটি নি:সন্দেহে একটি ভালো ও যুগোপযোগী উদ্যোগ ছিল। কিন্তু গত ৪/৫ দিনের চলমান টানা বর্ষণে ঝিরির দু’পাড় ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে ব্রিজটির নিচের অংশের মাটি সরে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যে একপাশ ডেবে গেছে। সেই সাথে ব্রিজের অসংখ্য স্থানে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ব্রিজটি ধসে পড়ে জান-মালের ক্ষতি হতে পারে। তাই এখনি বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা করে নিরাপত্তার স্বার্থে ব্রিজটির উপর দিয়ে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।

ব্রিজের ওপারের বাসিন্দা মংয়ে মার্মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেন, “মধুঝিরি মাষ্টার পাড়া এলাকায় মধুঝিরি খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি আজ ধসে পড়েছে। প্রায় ২০০ পরিবারে যোগাযোগ ব্যবস্থা একমাত্র মাধ্যম ব্রিজটি ধসে পড়াতে শত শত লোকের চরম ভোগান্তি আশংকা করছে এলাকাবাসী”।

এই বিষয়ে এলাকার লোকজন লামা উপজেলা প্রশাসন, লামা পৌরসভার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ব্রিজটি দিয়ে মাষ্টার পাড়া, পূর্ব মধুঝিরি ও মার্মা পাড়ার (একাংশের) প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে।

এই বিষয়ে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কামাল উদ্দিন বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমি ব্রিজটি দেখে গিয়েছিলাম। ব্রিজটির একপাশ ডেবে গেছে। ঝুঁকি থাকায় ব্রিজের উপর দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে ঝিরির দু’পাশ খননের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আরো দুইটি ব্রিজ ঝুঁকিতে আছে। সেগুলোও যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে।

পাঠকের মতামত: