ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরিরত এনজিও কর্মীদের অবাধ মেলামেশা!

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::

দেশে ভয়ানক হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো। তাদের হাতে একের পর এক নৃশংস হত্যাকান্ডসহ নানাবিধ অপরাধ ঘটছে। কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধীরা আপনার আমার সন্তান। তাদের ব্যাপারে উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওবাইদুল্লাহ মসজিদে জুমার খুতবায় বলেছেন, শুধু গ্রেপ্তারসহ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে এসব কিশোরকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। এজন্য তাদের মা-বাবাকে সচেতন করা জরুরি। পাশাপাশি এসব কিশোরকে কাউন্সেলিং ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। ইসলামী চেতনার অভাবে আজ প্রকাশ্যে রাস্তায় কুপিয়ে এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকে হত্যা করছে। নয়ন বন্ডরা ক্রস ফায়ারে নিহত হচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো আমাদের উখিয়ায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমাদের সন্তানদের ২৪ ঘন্টা নজরে রাখতে হবে। অভিভাবকরাও এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মা-বাবা মসজিদের ইমামসহ শিক্ষকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেছেন, কিশোর-তরুণেরা মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া ঘুরে বেড়ানো, ইভটিজিং, মাদকাসক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। উখিয়াকে সুন্দর রাখতে হলে আমাদের সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব। এজন্য প্রয়োজন পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মহল্লায় উঠান বৈঠক করা। কোনো কিশোর ছোট অপরাধে জড়িত হওয়ার তথ্য পেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত তার মা-বাবা ও অভিভাবকদের সরাসরি কথা বলে তাদের বোঝানো কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে কিশোরদের অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনা। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মানবতার শহর উখিয়ার সন্তানরা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়িঁয়ে নি:স্বার্থ মানবতা কাকে বলে দেখিয়েছেন। এখন এনজিও আসার পর মানবতার চাইতে অশ্লিলতা দেখছে আমাদের সন্তানরা। এনজিওতে কর্মরত নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার প্রতি নজরদারি থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাছাড়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

পাঠকের মতামত: