ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কুতুবদিয়ায় ২০ স্পটে লবন নামাতে কাঠের জেটি

এম. এ মান্নান, কুতুবদিয়া ::  কুতুবদিয়ায় লবন ওঠা-নামায় কোন জেটি নেই। যাত্রী বা অন্যান্য মালামাল খালাসে ৫টি জেটি থাকলেও লবনের জন্য কোন সরকারি জেটি নির্মিত হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে কাঠের জেটি দিয়ে বোটে লবন তোলা হয়। উপজেলার পুর্ব প্রান্তে আকবর বলী পাড়া, সতরুদ্দিন,পেয়ারাকাটা, দরবার ঘাট, বড়ঘোপ,অমজাখালী,পূর্ব আলী আকবর ডেইল,তাবারের চর সহ অন্তত ২০টি ঘাট বা গুদি রয়েছে বোটে লবন তোলার জন্য। এসব ঘাট স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিয়ে থাকেন। কিন্তু ঘাটগুলোতে পরিষদের পক্ষ থেকে কোন সুবিধা দেয়া হয়নি। যে কারণে লবন ব্যবসায়িরা নিজেদের গরজে কাঠ দিয়ে জেটি তৈরি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
লেমশীখালীর  লবন ব্যবসায়ি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লবন পরিবহণে ঝুঁকি নিয়ে বোটে লবন তোলা হয়। ঘাটগুলো ইজারা হলেও সুবিধা পায়না বোট মালিকরা। একই এলাকার লবন ব্যবসায়ি আবু ওমর বলেন, পেয়ারাকাটা ঘাটে নিজেরা কাঠ দিয়ে জেটি তৈরি করে বোটে লবন তোলার ব্যবস্থা করেছেন। অন্তত একটি জেটি তৈরিতে লাখ টাকা খরচ পড়ে। এর পরেও জোয়ারের পানি নীচে নেমে গেলে লবন ওঠানো বন্ধ থাকে। সরকারি সুবিধা কিছুই নেই ঘাটে। তিনি ছাড়াও ওই ঘাটে আবু মুছা, মহিউদ্দিন, শাহাজাহান, মুজিব,শাহরিয়ার,আজম,বেলাল কোম্পানীদের অন্তত ৭টি কাঠের জেটি নির্মিত হয়েছে। তবে এসব জেটিতে লবন শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে লবন লোড করছেন প্রতিনিয়ত।
উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান  আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী  চকরিয়া নিউজকে বলেন, লবন ব্যবসায়িদের কাছ থেকে কর হিসেবে প্রতিমণে ৫০ পয়সা করে আদায় করা হয়। এটি লবন বোটে তোলার সময়
ইজারাদারের মাধ্যমে আদায় হয়ে থাকে। যেহেত এটি ব্যবসায়িদের কাছ থেকে কর হিসেবে নেয়া হয় তাই জেটি বা ঘাটে কোন সুবিধা পরিষদের পক্ষে দেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননা তিনি।
লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোছাইন চকরিয়া নিউজকে বলেন, দ্বীপে পর্যাপ্ত লবন উৎপাদন হয়ে থাকে।  তবে এটি ঠিক যে লবন পরিবহণ বা ঘাটে নামাতে সরকারি জেটি নেই।  সতরুদ্দীন পেয়ারাকাটা ঘাটে একটি নির্মাণে প্রস্তুতি চলছে। এটিএক প্রকার সিদ্ধান্ত গৃহীতের কথা জানান তিনি। চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: