ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পত্রিকার প্রকাশনা ও সাংবাদিকদের তথ্য প্রসঙ্গে

অনলাইন ডেস্ক ::  জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছ থেকে পত্রিকার ডিকা্লরেশন নিয়ে অনেক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে না কিংবা প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপরন্তু ওইসব পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ পত্রিকার পরিচয়ে অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পত্রিকা অফিসে পাঠানো ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের অনুরোধে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় হতে যেসব পত্রিকা নিবন্ধন নিয়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে কিংবা আদৌ প্রকাশিত হচ্ছে না সেসব পত্রিকার ব্যাপারে তদন্তপূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ইয়েলো জানার্লিজমের সাথে জড়িত থাকলে তাদের সনাক্তকরণের প্রয়োজনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম জেলাধীন নিবন্ধনকৃত পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের নামের তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা ( ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইনের ৯(৩) ধারার বিধানুসারে নিয়মিত অপ্রকাশিত পত্রিকার ঘোষণা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। প্রেস কাউন্সিলের চাহিত তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ১৫ জুন ২০১৯ এর মধ্যে এ কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও নিবন্ধনকৃত পত্রিকার প্রকাশক/ সম্পাদক বরাবর ইতোমধ্যে পত্র প্রেরণ করা হলেও অনেক পত্রিকা থেকে চাহিত এ তথ্য এ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়নি।
এ অবস্থায় প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়, চট্টগ্রাম হতে নিবন্ধনকৃত পত্রিকার প্রকাশক/সম্পাদককে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হাসানের অফিসে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: