ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অর্থমন্ত্রীও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়: সুরঞ্জিত

image_151065_0নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দায় এড়াতে পারেন না এবং তিনিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘‘আপনি দায়িত্বশীল পদে থাকলে, দায়িত্ব নিয়েই কথা বলতে হবে। আপনাকেও দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। এটা আপনার টাকা না। এটা আপনার আমার বাবার টাকা না। এটা জনগণের অর্থ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। এর আগে ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল ব্যক্তিগত সহকারীর ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ দায় নিজের কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সুরঞ্জিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘আমাদের রাষ্ট্রীয় খাতের অর্থে হাত পড়েছে। এ বিষয়ে আরও দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে, সে যেই হোক কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়, আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই—অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যেকটি মানুষ।’’

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর হরহামেশা কথা বলারও কঠোর সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘‘কখনো ইংরেজিতে কয়, বাংলা কয়। কি যে কয় বোঝার উপায় নাই। এ সমস্ত জাতীয় বিষয়, রাষ্ট্রীয় বিষয়, হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নাই।’’ তিনি বলেন, ‘‘সব কাজ করবেন শেখ হাসিনা। আর আমরা ইংরেজি কমু, প্রেসের সঙ্গে কথা কমু। কী কয় রাবিশ-খবিশ। এগুলো কোনো কথা হলো?’’
আগে জানালেও অবস্থা একই হতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘‘এগুলো কোনো কথা হইলো। নিশ্চয় আগে জানালেই টাকা পাওয়া যেত। এগুলো সাধারণ ঘটনা না।’’ গভর্নরের পদ থেকে আতিউরের পদত্যাগের বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘সবাইকে একসঙ্গে খুশি করা যায় না। এটা বিরল আত্মত্যাগ এটাও যেমন ঠিক, আবার তাকে গভর্নর রাখা যাবে না এটাও ঠিক। দুইটা একসঙ্গে ঠিক হতে পারে না।’’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। ফিলিপাইনের একটি পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পাঠকের মতামত: