ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারীর বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মরিচ্যাপালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী বেশ কিছু দিন ধরে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটা ও বিক্রয় করে গেলেও বন বিভাগ না দেখার ভান করে থাকে। মাটি কেটে স্কুলের উঠানে স্তুপ করে রাখায় ও পাশ্ববর্তী আবাদী জমিতে মাটি ফেলায়  ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তাটি যাতায়াত অযোগ্য হয়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত স্কুল সংলগ্ন জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল কাসেম বলেন,১৯৯৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা কালে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন(অবঃ) আবদুস সোবহান স্কুলের নামে এক একর জমি দান করেন। কিন্তু স্কুল ভিটার জন্য মাত্র ১৯ শতাংশ জমি দখলে দিলেও বাকী জমি গুলো তিনি দখলে রাখেন। সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায়, স্কুলের দক্ষিণ পাশের বন বিভাগের রক্ষিত পাহাড়ী টিলাটি স্ক্যাভেটর দিয়ে কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম জানান,ইতিমধ্যে বেশ কিছু মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এখনো অনেক মাটি স্কুলের উঠানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। উক্ত পাহাড় কাটার মাটি আমার আবাদী জমিতে ফেলে সে জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করছে।অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও অফিস সহকারি জামাল উদ্দিন স্কুলের দক্ষিণ পাশে ভবন নির্মাণের অজুহাতে ধোয়া পালং রেঞ্জের হলদিয়া বনবিটের ২নং খতিয়ানের ২২২৩ দাগের পাহাড় স্ক্যাভেটর দিয়ে সাবাড় করে  অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের মালিকানাধীন ৬৯২ নং খতিয়ানের ২২২৫ দাগের আবাদী জমি থেকেও  মাটি কেটে অন্যত্রে বিক্রি করছে। এ নিয়ে বন বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান   বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য একটি ৪ তলা  ভবন বরাদ্দ দেয় সরকার। ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গাটির টিলা কেটে সমান করা হচ্ছে। তবে মাটি বিক্রির কথা তিনি অস্বীকার করেন।উক্ত  জায়গাটি বন বিভাগের পিএফ জমি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়রানি করছে বলে তিনি জানান।  দারিয়ারদীঘি বন রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোঃ সোহেল রানা জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আদেশের প্রেক্ষিতে আমাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমি ঢাকায় অবস্হান করার কারনে বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তবে এখনো তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রয়োজনে আমি পরবর্তীতে তদন্ত কবর।  কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, এ গুরুতর অভিযোগ।  তদন্তে বন বিভাগের রক্ষিত পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: