ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

১০ হাজার ইয়াবাসহ ট্রাফিক পুলিশের এসআই গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক ::

নগরীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ বাদি হয়ে গতকাল শনিবার নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে আরও এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে সিদ্দিকুর। এই তথ্য পাওয়ার পর নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ সিদ্দিকুরের সঙ্গে মামলায় বাবলু খন্দকার নামে ওই উপ-পরিদর্শককেও আসামি করেছে।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব রাছিব খানকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার দুপুরে সিদ্দিকুর রহমানকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন রোববার আদালতে দাখিল করা হবে।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে সিদ্দিকুরকে ১০ হাজার ইয়াবা ও ৮০ হাজার টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সিদ্দিকুর রহমান নগর পুলিশের বন্দর জোনে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের কাছ থেকে সিদ্দিকুর ১০ হাজার ইয়াবা সংগ্রহ করে। বাবলু খন্দকার একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেছিল। জব্দ করা ৮০ হাজার টাকা ইয়াবা বিক্রির মাধ্যমে সিদ্দিকুর পেয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।
সিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের চাকরির আড়ালে সিদ্দিকুর এবং বাবলু খন্দকার ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন মিলে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় মোটর সাইকেলে করে ইয়াবা দেওয়া-নেওয়া করত। অপর আসামি বাবলুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।

পাঠকের মতামত: