ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

২০ ধরনের সুবিধা মিলবে স্মার্ট কার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ইসি প্রদত্ত নতুন পরিচয়পত্র ‘স্মার্টকার্ড’ ২৫টি খাতে ব্যবহার করা হবে। কার্ডটিতে তিন স্তরে ২৫টির মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা যাবে, দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হবে বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ এবং শেষ স্তরের জন্য কোনো ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্ট করার প্রয়োজন হবে। এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য আটটি আন্তর্জাতিক সনদপত্র ও মানপত্র নিশ্চিত করা হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, নতুন স্মার্টকার্ড মেশিন রিডেবল, যা কার্ড জালিয়াতির হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে।বর্তমানে ভোটারদের কাছে বিদ্যমান লেমিনেটেড ন্যাশনাল আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে প্রথমবারের মত বিনামূল্যে  দেয়া হবে স্মার্টকার্ড। এরপর পুনরায় এই কার্ড পেতে চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।

জানা গেছে, বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস নিতে এই আইডি কার্ড প্রদর্শন আবশ্যক করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটারদের নতুন যে আধুনিক আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে ইসি কিছু নতুন বিধিবিধান করেছে। জানা গেছে, প্রায় ২০০ টাকা মূল্যের স্মার্টকার্ড প্রথমে সব নাগরিককেই বিনামূল্যে দেয়া হবে। কার্ডের মেয়াদ অন্তত ১০ বছর হবে।

এরপর কার্ড নবায়নের জন্য ফি নির্ধারণ হয়েছে (সাধারণ) ২৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের ফি ৫০০ টাকা। অন্যদিকে হারানো বা নষ্ট কার্ড উত্তোলনে প্রথমবার ফি (সাধারণ) ৫০০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ফি ১ হাজার টাকা।

দ্বিতীয়বার হারালে ফি ধরা হয়েছে (সাধারণ) ১ হাজার টাকা। জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ২ হাজার টাকা। এ ছাড়া দ্বিতীয়বারের পর কার্ড হারালে বা নষ্ট হলে ভোটারকে জরিমানা বা ফি দিতে হবে (সাধারণ) ২ হাজার টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ৪ হাজার টাকা।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ৯ কোটি ২০ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্তের বিষয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে শাস্তি থাকছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে যেসব সেবা-সুবিধা পাওয়া যাবে:
সরকারি সব অনলাইন সুবিধা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, সম্পত্তি কেনাবেচা, টিআইএন প্রাপ্তি, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ই-পাসপোর্ট, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণগ্রহণ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি, বিআইএন, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বীমা স্কিম, ই-গভর্নেন্স, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই-ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ।

পাঠকের মতামত: