নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি প্রভাবশালী পাহাড়খেকো সিÐিকেটের নেতৃত্বে চলছে পাহাড় নিধনের মহোৎসব। পাহাড় কেটে মাটি পাচার অব্যাহত থাকায় দিনদিন পেকুয়ায় কমছে পাহাড় ও টিলার সংখ্যা। উজাড় হচ্ছে বনজসম্পদ। এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে পেকুয়ার জীববৈচিত্র ও পরিবেশ।
সচেতন মহলের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বেশ কিছুদিন ধরে এ অবৈধভাবে পাহাড়কাটা চলে আসছে। তাই এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, শিলখালী ইউনিয়নের এতিমখানা এলাকায় মাটি কাটার যন্ত্র (স্কেলেভেটর) দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড়ি এসব মাটি পাঁচটি ট্রাক গাড়িযোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এভাবে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে দিনদুপুরে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলেও নিশ্চুপ স্থানীয় প্রশাসন।
শিলখালী এতিমখানা এলাকার বাসিন্দারা জানান, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মশরফ আলীর ছেলে হাজী দলিলুর রহমান ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন ড্রাইভারসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তির একটি সিন্ডিকেট বারবাকিয়া ও শিলখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনভ‚মির পাহাড়গুলো প্রতিনিয়ত কেটে সাবাড় করছে। এ সিন্ডিকেটটি পাহাড়ের মাটি থেকে শুরু করে বনভ‚মি নিধনে সক্রিয়। পাহাড় কাটার পাশাপাশি গাছ কেটে উজাড় করছে বনভ‚মি। প্রতিনিয়ত পাহাড় ও টিলা সম‚হের শ্রেণী পরিবর্তন করে চলছে এই সিন্ডিকেটের রমরমা ব্যবসা।
তারা আরো জানান, বন ও পরিবেশ রক্ষার্থে এ অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করা অতীব জরুরি। আর যারা পাহাড় নিধনে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে পাহাড়গুলো রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবউল করিম বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরেও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পাহাড় কাটায় জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিস প্রধান মোঃ কামরুল হাসান বলেন, পেকুয়ায় পাহাড় নিধনে জড়িতদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: