ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা শিবির এখন ‘ইয়াবার ডিপো’

নিউজ ডেস্ক ::
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির এখন ইয়াবার ডিপোতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারের ইয়াবা কারখানার সরবরাহকারি এবং সীমান্তের এদেশীয় কারবারিরাও এখন ইয়াবার ডিপো হিসাবে রোহিঙ্গা শিবিরকেই নির্ভরযোগ্য মনে করছে। এ কারনে রোহিঙ্গা শিবির গুলোতেও এবার ইয়াবা বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সদস্যরা।
গত কয়েক মাস ধরে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা বিরোধী অভিযান জোরদার করার কারনে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় ইয়াবার যত্রতত্র চালান পাচার হ্রাস পেয়েছে বলে করছে পুলিশ। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পুলিশের ইয়াবা বিরোধী কঠোর ভুমিকার কারনে টেকনাফের কারবারিরা কাবু হয়ে পড়েছে। যেসব ইয়াবা ডন আগে প্রকাশ্যে ইয়াবার বড় বড় চালান পাচার করত সেইসব বড় চালানের পাচার কাজ হ্রাস পেয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, বিজিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সহ অন্যান্য মাদক বিরোধী অভিযানে জড়িত আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সংস্থার মাসিক অভিযানের তথ্য পর্যালোচনা করলেই পাচারের এমন হ্রাস পাবার চিত্র পাওয়া যাবে। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, তবুও এমন নয় যে, সীমান্তের ইয়াবার চালান পাচার বন্ধ হয়ে যায়নি। এতদসত্বেও পুলিশ থেমে থাকবে না। সীমান্তের যেখানেই ইয়াবা সেখানেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সীমান্তের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ইয়াবা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু করেছে গতকাল বুধবার থেকে। রোহিঙ্গাদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে-টাকার চেয়েও ‘জীবন অনেক মূল্যবান।’ ইয়াবা মানুষের জীবন হানি করছে-এমন বার্তাই পুলিশ রোহিঙ্গাদের কাছে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। গতকাল টেকনাফ সীমান্তের ৪ টি রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা বিরোধী সচেতনতা প্রচারণা চালানো হয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষে।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন-‘আমি গতকাল টেকনাফের নয়াপাড়া, লেদা, জাদিমুরা ও হোয়াইক্যং রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে ইয়াবা বিরোধী জনমত সৃষ্টির জন্য সচেতনতা প্রচারণা চালিয়েছি। এরকম প্রচারণা আগামী এক সপ্তাহব্যাপি চালানো হবে।’ তিনি বলেন, বিজিবি, র‌্যাব, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সহ পুলিশ দফায় দফায় এ যাবত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ইয়াবা সহ আটক করেছে।
এমনকি ইতিমধ্যে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারি আইন শৃংখলারক্ষাকারি সংস্থার সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। টেকনাফ থানার ওসি আরো বলেন, ইয়াবা পাচার বন্ধে এবার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোকে টার্গেট করে অভিযান পরিাচলনা করা হবে।

পাঠকের মতামত: