রামু সংবাদদাতা ::  রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানা ইউনিয়নের পূর্ব মুরাপাড়া বনের ভিতর ধান পাহারা দেয়ার সময় ৫ কৃষককে অপহরণ করার পর ৭ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৫মে) ভোরে সদর উপজেলার কালির ছড়া এলাকার পূর্ব পাশের গভীর জঙ্গল থেকে দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

অপহৃতরা হলো জোয়ারিয়ানালা পূর্ব মুরাপাড়ার মৃত এজাাহার মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৫), মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মনসুর আলম (৩০), আব্দুল হামিদের ছেলে আবুল কালাম (৪০), মৃত এজাাহার মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৩৫) ও আলী হোসেনের ছেলে বাহাদুর (৫০)।

অপহ্নতরা বলেন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্ব পাশ্বের পাহাড়ের ভিতরে তাদের ধানী জমিতে প্রতি বছরের মতো ধান চাষ করে আসছিল। উক্ত ধান ক্ষেত বন্যপ্রাণী নষ্ট করার ফলে পাহারা দিতে হয়। প্রতিদিনের মতো শনিবার (৪মে) রাতে ধান ক্ষেত পাহারা দিতে গিলে একদল অপহরণকারী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জঙ্গল ভিতর নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণের জন্য মারধর করে। রাতের অন্ধকার হওয়ায় এক পর্যায়ে আবুল কালাম, আবুল হোসেন ২ জন পালিয়ে যায়। তারা পালিয়ে যাওয়াতে অপরহরণকারীরা অপর অপহ্নত আবুল কালাম, মনসুর আলম ও বাহাদুরকে মারধর করে আরো গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এমত অবস্থায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা তাদের রেখে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীদের গুলি শেষ হলে তারা গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। সকালে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে তাদর স্বজনদের কাছে তুলে দেয়ার কথা জানান।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনসুর জানান, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্ব পাশ্বের পাহাড়ের ভিতর প্রতিদিনের মত ৫ কৃষক ধান ক্ষেত বন্যপ্রাণীর কাছ থেকে রক্ষা করতে পাহারা দিতে গেলে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী তাদের ধরে নিয়ে যায়। অপহ্নত অবস্থা থেকে আবুল কালাম, আবুল হোসেন নামে ২ কৃষক পালিয়ে আসেন। খবর পেয়ে তাঁর (ওসি) এর নেতৃত্বে পুলিশ গভীর জঙ্গলে উদ্ধারে গেলে অপহরণকারীরা পলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। আত্মরর্ক্ষত্বে পুলিশ ১৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তাদের রেখে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় অপহ্নতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হয়। সংঘবদ্ধ অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখে সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।