ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে আবাসিক হোটেল থেকে ১০ পতিতাসহ ৬ খদ্দের আটক

টেকনাফ প্রতিনিধি  ::
রোহিঙ্গা তরুণী নিয়ে রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে টেকনাফের কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও ভাড়া বাসা। ক্যাম্প থেকে বিনা বাধায় নিরাপদ রোহিঙ্গাদের যাতায়তের সুযোগ থাকায় এ ব্যবসার সৃষ্টি।

টেকনাফ পৌর শহরে প্রায় ১০ টি আবাসিক হোটেল ও অর্ধশত ভাড়া বাসা রয়েছে। এতে চিহ্নিত কয়েকটি ভাড়া বাসা ও কয়েকটি আবাসিক হোটেল বর্তমানে মিনি পতিতালয়ে পরিনত হয়েছে। কয়েকটি ভাড়া বাসাতে মেয়ে এবং মদের জমজমাট আসর বসে।

বাস স্টেশন জামে মসজিদের সামনে দাঁড়ালে দেখা যায় বোরকা পরা স্মার্ট তরুণীরা চাঁদের গাড়ী, চারপোকা গাড়ী , সিএনজি ও লোকাল বাস থেকে নেমে একা রিক্সা বা পায়ে হেঁটে কোথায় ছুটে যায়। সন্ধ্যা হলে ঐসব তরুণীরা বাজার সওদা করে একই গাড়িতে করে হাঁসি মুখে আবার ফিরে যায়।

বাস স্টেশনের একজন ব্যবসায়ী বলেন আমার সামনের আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন ১০ থেকে বিশ জন বোরকা পরা কম বয়সী মেয়ে উঠা-নামা করে এবং স্থানীয় অনেক যুবক ও মধ্য বয়সী লোকজনকে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়, সে খানে তারা কি করে আমি জানিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পান দোকানী বলেন- টেকনাফ খুব বেশী খারাপ হয়ে গেছে, ঐ হোটেলে রাত দিন পতিতা ও খদ্দের আসা যাওয়া করে, প্রায় সময় খুচরা ইয়াবা, মদ, গাজা খোঁজে। তিনি আরো বলেন আবাসিক হোটেলের মহিলা গুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসে, কিছু রাতে থাকে আর কিছু দিনে, এ সব অবৈধ কাজ প্রশাসন দেখেনা কেন।

এ ব্যপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদিপ কুমার দাশ চকরিয়া নিউজকে বলেন, আবাসিক হোটেল ভিত্তিক অবৈধ ব্যবসা বন্ধে আমরা সতর্ক রয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক পুরুষ মহিলা এইচ আইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। রোহিঙ্গা মহিলাদের সাথে স্থানীয় পুরষদের অবাধ মেলা মেশার কারণে আগামীতে টেকনাফে প্রচুর সংখ্যক এইডস রোগী সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের ২০ জনকে বাংলাদেশে আসার পর শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যরা মিয়ানমারে থাকতেই তাঁদের সংক্রমণের বিষয়ে জানতেন। এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। আরও প্রায় অর্ধশত আছেন মুমূর্ষু অবস্থায়।

এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে ৩৭৮ জন এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫৮ জন রোহিঙ্গা, ১২০ জন বাংলাদেশি।

পাঠকের মতামত: