ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

লামায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

ঘূর্ণিঝড় “ফণী” মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসন। সার্বিক তত্ত্বাবধান জরুরি সেবা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া উপজেলার সকল সরকারি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুঁটি বাতিল করে কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে জনগণের পাশে থাকা নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আপদকালীন সময়ে যে কোন প্রয়োজনে, সেবা চেয়ে ও ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরতদের মোবাইলে ফোন করা যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা- ০১৫৫০০০৭১৮০, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)- ০১৮৪৫৭২৯৭২১। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় গত দুইদিনে কয়েক দফা জরুরী মিটিং করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। শুক্রবার সকাল হতে লামা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য লামা সরকারি হাসপাতালের সকল স্টাফকে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে এবং করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া দুর্যোগ কালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাল, শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে দুর্গত মানুষের পাশে থাকতে প্রস্তুত আছে, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন এনজিও ও সেনাবাহিনী।

এদিকে এক বিশেষ বার্তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি আসন্ন ঘূর্ণিঝড় “ফণী” আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রাখতে বলেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজে সকল মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা ও সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় “ফণী” এর বিষয়ে আমরা সবাই অবগত আছি নিশ্চয়ই। সবাই যার যার মূল্যবান জিনিসপত্র যেমন স্বর্ণালংকার, জমির কাগজপত্র, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, চিকিৎসা পত্র ইত্যাদি নিরাপদে রাখবেন। এছাড়া মোবাইল, চার্জার লাইট চার্জ দিয়ে প্রস্তুত রাখবেন। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার স্যালাইন সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। গবাদী পশুপাখিকে নিরাপদ জায়গায় রাখবেন। বাড়ির ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ ও বয়স্ক সদস্যদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা যথাশীঘ্রই সম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী সকল জনসাধারণকে পার্শ্ববর্তী নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা ইনশাআল্লাহ এই দূর্যোগ মোকাবেলা করবো।

পাঠকের মতামত: