ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

লামায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ল কৃষকের ঘর

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

বান্দরবানের লামার দুর্গম এলাকায় শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হল এক কৃষকের খামার বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ জুমচাষী মো. ইউছুপ আলী (৬০) আগুনে পুড়ে তার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন। সে লামা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। বুধবার বিকেল ৫টায় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দুর্গম সাপঝিরি এলাকায় তার খামার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার স্থানটি উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।

ক্ষতিগ্রস্থ জুমচাষী মো. ইউছুপ আলী বলেন, আমি হেডম্যান রিপোর্ট মুলে ইউনিয়নের দুর্গম সাপঝিরি এলাকায় ১০ একর পাহাড়ি জমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ভোগদখলে থেকে জুমচাষ করে আসছি। উক্ত পাহাড়ি জমিতে আনারস, কলা, বাঁশ, কমলা, আম, কাঁঠাল সহ নানা প্রজাতির ফলমূল ও গাছপালা রোপন এবং পাহাড়ি ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে জীবিকা পরিচালনা করি। বুধবার বিকেলে আমার পাহাড় হতে কিছু বাঁশ কেটে বিক্রি করার জন্য লামা বাজার নিয়ে যাচ্ছিলাম। বাঁশ নিয়ে কিছুদূর আসার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে খামারের শ্রমিকরা মোবাইল করে জানায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে আমার খামার ঘরটি পুড়ে দিয়েছে। খামার ঘরটি যখন আগুনে জ্বলছিল তখন আমার বাগানের পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিক চিউনী খাল পাড়ার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মো. আবুল কালামকে দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে দেখেছে শ্রমিকরা। এই আবুল কালামের সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ রয়েছে। উক্ত এলাকাটি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্য হওয়ায় ভয়ে রাতের বেলায় আর যায়নি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখি খামার ঘরটি মালামাল সহ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খামার ঘরে আমার বেশ কিছু গাছপালা, কাঠ মজুদ ছিল। খামার ঘর ও মালামালসহ আগুনে পুড়ে আমার ২ লাখ টাকা ও শ্রমিকদের নগদ টাকা, মালামাল পুড়ে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

বাগানের পার্শ্ববর্তী লংঙগ মুরুং, অংয়া মুরুং ও রেংরান মুরুং বলেন, আমরা সবাই এগিয়ে এসেও আগুন নিভাতে পারিনি। সব পুড়ে গেছে। মো. ইউছুপ আলী ও মো. আবুল কালামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে।

এই বিষয়ে মো. আবুল কালাম বলেন, ঘরটি আগুনে পুড়তে দেখেছি। তবে কে আগুন দিয়েছে জানিনা।

খামার ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, মো. ইউছুপ আলী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আপদকালীন সময়ে পরিষদ হতে তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। কেউ যদি আগুন লাগিয়ে তার ক্ষতি করে থাকে, তাহলে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে বিচার করা হবে।

পাঠকের মতামত: