ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় চলছে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া ইউনিয়েনের তেচ্ছা পাড়ায় এক স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছে। সংগোপনে চলছে কাবিন নামার কাজ। ডেমুশিয়া জিন্নাত আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যায়ের ছাত্রী মুবিনা আকতার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ২০১৬ সালের জেএসসি মার্কসীট অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১৬ বছর।
সে ডেমুশিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছা পাড়া গ্রামের ফরিদুল আলমের কন্যা। তার সাথে একই উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের ছৈয়দ আলমের ছেলে আশেক উদ্দিন (৩৪)এর সাথে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। ‘বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন ২০১৭’ অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় গোপনে আয়োজন চলছে এ বিয়ের।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা ফরিদুল আলম তার মেয়ের কাবিন সম্পন্ন হয়েছে জানান। কিন্তু ১৬ বছরের কন্যাকে কে, কিভাবে কাবিন করেছে জানতে চাইলে পরে আবার কাবিনের বিষয় অস্বীকার করেন সে। এ বাল্য বিয়েতে মুল কাজীর এক সহযোগী ডেমুশিয়া এলাকার রুহুল কাদের নামের ব্যক্তি কাবিন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কাজীর সহযোগী রুহুল কাদের জানান, মেয়টির বিয়ের বয়স অপূর্ণ থাকায় এ কাবিন তিনি করেননি। তবে তিনি গত শুক্রবার রাতে ওই বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছিলেন বলে স্বীকার করেন। মেয়ে বা ছেলের পক্ষ কাবিনের কোন কাগজ দেখাতে পারবে না বলেও জানান মুল কাজীর সহযোগী এ রুহুল কাদের। জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না এ ব্যাপারে খবর নিয়ে দেখবেন।
ডেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু জানান, ইউনিয়নের তেচ্ছা পাড়া গ্রামের ফরিদুল আলমের মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তাকে অবগত করেছিলেন। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী মেয়ের বয়স অপূরণ আছে। তাই মেয়ের বিয়ের বয়স পূর্ণ না হতে বিয়ে দিতে নিষেধ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানায়, বিষয়টি জানতে ওই ঠিকানায় খবর নিয়ে দেখবেন। সত্যতা যাচাই পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: